চলতি বছর ৩৫ হাজার সিরীয় অভিবাসনপ্রত্যাশীকে আটক করেছে তুরস্কের উপকূলরক্ষী বাহিনী। একই সঙ্গে ৫৬ মানবপাচারকারীকেও গ্রেফতার করা হয়েছে।
এ বছর অবৈধ অভিবাসীর সংখ্যা অনেক বেড়েছে। চলতি বছরের প্রথম ৯ মাসে অনিয়মিত অভিবাসীর সংখ্যা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় দ্বিগুণ হারে বৃদ্ধি পেয়েছে।
গত জুলাই ও আগস্ট মাসের তুলনায় সেপ্টেম্বর মাসে অনিয়মিত অভিবাসীর সংখ্যা ছিল সর্বোচ্চ। এদের বেশিরভাগই এসেছেন সিরিয়ার আলেপ্পো থেকে।
কারণ দেশটিতে চলা দীর্ঘ গৃহযুদ্ধের পর রাশিয়ার সহায়তায় সিরিয়া সরকার, সেখানে বিমান হামলা জোরদার করায় প্রাণ বাঁচাতে তারা পালিয়ে গেছেন সিরিয়া থেকে। চলতি বছরের প্রথম ৯ মাসে ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিতে গিয়ে প্রায় ৩৫ শরণার্থী অভিবাসী সাগরে ডুবে মারা গেছেন।
ইউরোপের উদ্দেশে পাড়ি দেয়া অভিবাসীদের কাছে তুরস্ক একটি প্রধান ট্রানজিট পয়েন্ট। বিশেষ করে যুদ্ধবিধ্বস্ত এবং দারিদ্র্য দেশগুলোর অভিবাসীরা তুরস্ক হয়েই ইউরোপের বিভিন্ন দেশে পাড়ি জমায়। এ ক্ষেত্রে হাজার হাজার অভিবাসী জীবন হাতে নিয়ে বিপজ্জনকভাবে সাগর পাড়ি দিচ্ছে। অনেকে তুরস্ক সীমান্তে তাঁবুতে মানবেতর শরণার্থী জীবনযাপন করছে।
জাতিসংঘের শরণার্থীবিষয়ক সংস্থা বারবার সতর্ক করার পরও অভিবাসী স্রোত কমছে না। এ ছাড়া সাগরপথে অবৈধভাবে দালালদের সহায়তায় ইউরোপে পাড়ি দেয়ার চেষ্টা কোনোভাবেই থামানো যাচ্ছে না।
বিডি প্রতিদিন/আরাফাত