সিরিয়ার উত্তরাঞ্চলে এতদিন আমেরিকার মদদপুষ্ট কুর্দি বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে তুরস্ক যে সেনা অভিযান চালানোর ঘোষণা দিয়েছে সে বিষয়ে ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মাদ জাওয়াদ জারিফ তার তুর্কি সমকক্ষ মেভলুত চাভুসওগ্লুর সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলেছেন।মার্কিন সরকার এতদিন কুর্দি বিদ্রোহীদের রক্ষা করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে আসলেও সম্প্রতি হঠাৎ নীতি পরিবর্তন করে এসব বিদ্রোহীকে তুর্কি বাহিনীর আগ্রাসনের মুখে অরক্ষিত অবস্থায় ফেলে রেখেছে।
টেলিফোনালাপে ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সিরিয়ার অভ্যন্তরে তুরস্কের যেকোনো ধরনের অভিযানকে দামেস্কের সার্বভৌমত্ব ও ভৌগোলিক অখণ্ডতা লঙ্ঘন বলে অভিহিত করেন এবং এ ব্যাপারে তেহরানের প্রতিবাদের কথা জানান। জারিফ বলেন, সিরিয়া ও তুরস্কের মধ্যকার সংকটের জন্য আদেনা চুক্তি হচ্ছে শ্রেষ্ঠ সমাধান।
জারিফের এ বক্তব্যের জবাবে তুর্কি পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, সিরিয়ার সার্বভৌমত্ব ও ভৌগোলিক অখণ্ডতার প্রতি তুরস্কের পূর্ণ সম্মান রয়েছে এবং আসন্ন অভিযান হবে সংক্ষিপ্ত ও অস্থায়ী। অভিযান শেষে তুর্কি সেনারা নিজ দেশে ফিরে যাবে বলেও চাভুসওগ্লু প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন।
গত শনিবার তুর্কি প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়্যেব এরদোগান ঘোষণা দেন, শিগগিরই উত্তর সিরিয়ায় অবস্থানরত কুর্দি বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে সামরিক অভিযান চালাবে তার দেশ। তার ওই ঘোষণার পর সিরিয়া সীমান্তে সামরিক উপস্থিতি জোরদার করেছে আঙ্কারা।
১৯৯৮ সালের ২০ অক্টোবর ইরান ও মিশরের মধ্যস্থতায় আদেনা চুক্তিতে সই করেছিল তুরস্ক ও সিরিয়া। ওই চুক্তিতে বলা হয়েছিল, তুরস্ক ও আঙ্কারা পরস্পরের ভূমিতে সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলোর অনুপ্রবেশ প্রতিহত করবে। ওই চুক্তিতে একথাও বলা হয়েছে, তুরস্কের কুর্দি বিদ্রোহীরা যদি সিরিয়ায় আশ্রয় নেয়া তাহলে তুর্কি সেনারা এসব বিদ্রোহীর বিরুদ্ধে অভিযান চালাতে সিরিয়ার সীমান্তের মাত্র পাঁচ কিলোমিটার অনুপ্রবেশ করতে পারবে; তার চেয়ে বেশি নয়। সূত্র : পার্সটুডে।
বিডি-প্রতিদিন/শফিক