যুক্তরাষ্ট্রের টন টন প্লাস্টিক বর্জ্য নিজেদের দেশে আমদানি করার চুক্তি স্বাক্ষর করেছে আর্জেন্টিনা। আর সেটা করতে গিয়ে বর্জ্যের সংজ্ঞাই বদলে ফেলেছেন আর্জেন্তিনার প্রেসিডেন্ট মৌরিকিও ম্যাক্রি।
নতুন চুক্তিতে বর্জ্যের বদলে পুনর্ব্যবহারযোগ্য বস্তুর উল্লেখ করা হয়েছে। তার মধ্যে পুনর্ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিক যেমন রয়েছে, তেমনই রয়েছে মিশ্র এবং নিম্নমানের দূষিত প্লাস্টিক বর্জ্য, যা পুনর্ব্যবহারযোগ্য করে তোলা যথেষ্ট কষ্টসাধ্য।
উন্নত দেশের দূষিত বর্জ্য প্রক্রিয়াকরণের নামে উন্নয়নশীল দেশে পাঠিয়ে দেওয়া কোনও নতুন ঘটনা নয়। এই বর্জ্যের সিংহভাগ যেত চীনে, কিন্তু ২০১৭ সালের শেষ দিকে চীন সব ধরনের বর্জ্য নিতে অস্বীকার করে। তারা জানিয়ে দেয়, সহজে প্রক্রিয়াকরণ সম্ভব, এমন প্লাস্টিক ছাড়া আর কোনও বর্জ্য গ্রহণ করবে না তারা।
বর্জ্য আমদানি নিয়ন্ত্রক সংগঠন, ‘বাসেল অ্যাকশন নেটওয়ার্কে’র এগজিকিটিভ ডিরেক্টর দিম পুকেটের বক্তব্য, ‘চীনের না নিতে চাওয়া বর্জ্য আর্জেন্টিনা গ্রহণ করছে। কিন্তু তারা বুঝছে না প্রক্রিয়াকরণের নামে যে বর্জ্য ওদের কাছে পাঠানো হচ্ছে, তাতে ওদের লাভের চেয়ে ক্ষতিই হবে বেশি। যা পুনর্ব্যবহার সম্ভব নয়, সে বর্জ্যও এবার আর্জেন্টিনায় পাঠিয়ে দেবে আমেরিকা।’
তবে আর্জেন্টিনার পরিবেশবিদরা এমন ঘটনায় যারপরনাই ক্ষুব্ধ। তাদেরই একজন সেসিলিয়া অ্যালেন জানালেন, প্রক্রিয়াজাত প্লাস্টিক তৈরির খরচ ভার্জিন প্লাস্টিকের চেয়ে বেশি। ফলে, সিমেন্ট প্লান্টগুলোও প্লাস্টিক বর্জ্য নিতে চাইছে না। সেসিলিয়ার কথায়, ‘নিজেদেরই অনেক বর্জ্য জমছে, অন্য দেশের বর্জ্যের জন্য দরজা খুলে দিলে পরিস্থিতি তো আরও ভয়াবহ হবে!’
বিডি-প্রতিদিন/ সিফাত আব্দুল্লাহ