ভারতের বহুল আলোচিত নির্ভয়া গণধর্ষণ ও হত্যাকাণ্ডে দোষী সাব্যস্ত চারজনকে ২২ জানুয়ারি ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার কথা রয়েছে। গত ৭ জানুয়ারি দিল্লির পাতিয়ালা হাউজ কোর্ট আসামিদের মৃত্যু পরোয়ানা জারি করেছে। এরই মধ্যে বৃহস্পতিবার রায়ের সংশোধন চেয়ে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করেছেন মামলার অন্যতম আসামি বিনয় শর্মা। মৃত্যু পরোয়ানাও খারিজ চেয়েছেন তিনি।
আনন্দবাজার পত্রিকা জানিয়েছে, বিনয়ের আবেদনে দাবি করা হয়েছে, গরীব বলেই তাকে ফাঁসির আদেশ দেওয়া হয়েছে। বিনয় শর্মা প্রশাসনিক ও রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত পরিবেশে আদালতে তার আবেদনের শুনানি চেয়েছেন। এই আবেদনের ফলে আবারো আইনী লড়াই শুরু হলো।
সুপ্রিম কোর্টের রায়ে সংক্ষুব্ধ হলে প্রথমে রায় পুনর্বিবেচনার আবেদন করা যায়। এই মামলায় ইতিমধ্যে সেই আবেদন খারিজ হয়েছে। পরবর্তী বিকল্প হিসেবে রায় সংশোধনের আবেদন করা যায়। আর ফাঁসির সাজাপ্রাপ্ত আসামি এর পরেও সর্বশেষ বিকল্প হিসেবে রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষা চাইতে পারেন। সেই আবেদন নাকচ হলে আসামির ফাঁসি বাতিল হওয়ার কোন সম্ভাবনা থাকে না।
২০১২ সালের ১৬ ডিসেম্বর দিল্লিতে প্যারামেডিকেলের এক ছাত্রী চলন্ত বাসে গণধর্ষণের শিকার হয়ে মৃত্যুবরণ করেন। ওই ঘটনায় ভারতজুড়ে প্রতিবাদের ঝড় ওঠে। গণমাধ্যম মেয়েটিকে ‘নির্ভয়া’ নামে আখ্যা দেয়, একইসঙ্গে ঘটনাটি নির্ভয়াকাণ্ড নামে পরিচিতি পায়। নির্ভয়াকাণ্ডে দায়ের হওয়া মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত চারজন ছাড়াও গণধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় আরও দুই অভিযুক্ত রয়েছে।
এর মধ্যে অভিযুক্ত রাম সিং বিচার চলাকালে জেলে আত্মহত্যা করে এবং একজন অপ্রাপ্তবয়স্ক হওয়ায় তাকে তিন বছর সংশোধনাগারে রাখার পর ছেড়ে দেওয়া হয়।। বাকি চার আসামি অক্ষয় কুমার সিংহ, মুকেশ সিংহ, পবন গুপ্ত ও বিনয় শর্মাকে দোষী সাব্যস্ত করে বিচারিক আদালত। হাইকোর্ট এবং সুপ্রিম কোর্টেও সেই সাজাই বহাল রয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/আল আমীন