ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি কলকাতা যাচ্ছেন। শনিবার বিকেলে কলকাতা বিমানবন্দরে পৌঁছবেন তিনি। ভিআইপি রোডে তাকে বিক্ষোভ ও কালো পতাকা দেখানোর আশঙ্কা আছে। তাই বিমানবন্দর থেকে হেলিকপ্টারের বদলে সড়কপথেই শহরে পৌঁছবেন তিনি। প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তা দেখে স্পেশাল প্রোটেকশন গ্রুপ (এসপিজি)। এসপিজি যদি মনে করে সেই আবহাওয়া নদীপথে যাত্রার উপযুক্ত নয়, তা হলে যাত্রাপথ বদলও করা হতে পারে। তবে এটাও ঠিক যে, সড়কপথে বেলুড়ে পৌঁছতে হলে ঘিঞ্জি রাস্তা দিয়ে যেতে হবে।সেটাও নিরাপত্তার দিক থেকে চিন্তার বিষয়।
বিমানবন্দর থেকে ভিআইপি রোড, বাইপাস হয়ে ময়দান ঘুরে সাড়ে ৫টা নাগাদ বি বা দী বাগে কারেন্সি বিল্ডিংয়ে পুরাতত্ত্ব সর্বেক্ষণের একটি প্রদর্শনীর উদ্বোধন করবেন মোদী। তার পরে মিলেনিয়াম পার্কে হাওড়া সেতুর ‘লাইট অ্যান্ড সাউন্ড’ বা আলোকধ্বনির সূচনা করবেন তিনি। সেখান থেকে নদীপথে তার বেলুড়ের উদ্দেশে রওনা হওয়ার কথা। প্রশাসনের খবর, নদীপথেই ফেরার পরিকল্পনা রয়েছে প্রধানমন্ত্রীর। রাতে রাজভবনে বিশ্রাম নিয়ে রবিবার বেলা ১১টা নাগাদ নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে একটি অনুষ্ঠান আছে তার। তার পরে সড়কপথে, নাকি রেসকোর্স থেকে হেলিকপ্টারে তিনি কলকাতা বিমানবন্দরে পৌঁছবেন সেটা এখনও চূড়ান্ত হয়নি।
পুলিশি সূত্রের খবর, মিলেনিয়াম পার্কে শনিবার অনুষ্ঠান থাকায় এমনিতেই গঙ্গাবক্ষে নজরদারি ও টহলদারি বাড়াতে হবে। তার উপরে প্রধানমন্ত্রী জলপথে যাত্রা করলে বিস্তৃত এলাকাকে নিরাপত্তায় মুড়ে ফেলতে হবে। বিমানবন্দর থেকে শহরের বিভিন্ন রাস্তাতেও নিরাপত্তা বাড়ানো হবে।
শুক্রবার এসপিজির একটি দল কলকাতায় যাচ্ছে। প্রধানমন্ত্রীর গোটা সফরের যাত্রাপথ নিয়ে আবার আলোচনা হতে পারে। কলকাতা পুলিশের কর্তারা ছাড়াও বিধাননগর ও হাওড়া পুলিশের প্রতিনিধিরা সেই বৈঠকে থাকবেন।
সূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা
বিডি প্রতিদিন/ফারজানা