ইরানের হামলাতেই তেহরানের ইমাম খামেনি বিমানবন্দর থেকে উড্ডয়নের পর ১৭৬ জন যাত্রী নিয়ে বিধ্বস্ত হয় ইউক্রেনগামী বোয়িং-৭৩৭ বিমান পিএস৭৫২। শনিবার এমন কথা স্বীকার করে নিয়েছে ইরানের সেনাবাহিনী। তবে এটিকে 'হিউম্যান এরর' বলে চিহ্নিত করেছে তারা।
এরপরই ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভোলোদিমির জেলেন্সকির সঙ্গে ফোনে কথা বলেছেন ইরানের প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানি। টেলিফোন আলাপে রুহানি বলেন, বিমান বিধ্বস্তের তদন্তে দু’দেশের মধ্যে ঘনিষ্ঠ সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে।
এ ব্যাপারে ইরানের সংবাদ মাধ্যম পার্সটুডে জানায়, বিমান বিধ্বস্তের ঘটনা নিয়ে প্রেসিডেন্ট রুহানি শনিবার দ্বিতীয়দিনের মতো জেলেন্সকিকে টেলিফোন করেন। এ সময় তিনি বলেন, মানবীয় ত্রুটির কারণে এই হৃদয়বিদারক ঘটনা ঘটেছে এবং এর সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের বিচার করা হবে। ইউক্রেন থেকে বিশেষজ্ঞ দল এসে পৌঁছালে দু’দেশের বিশেষজ্ঞরা যৌথ তদন্ত চালাবেন এবং বিমান বিধ্বস্ত হওয়ার ঘটনা তদন্তে একটি বিচার বিভাগীয় তদন্তও চালানো হবে। তার দেশ এ ঘটনায় নিহতদের ক্ষতিপূরণ দেয়ার ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক আইন পুরোপুরি মেনে চলবে।
এদিকে জেলেন্সকি জানান, এ স্পর্শকাতর সময়ে ইরানের পক্ষ থেকে যে সহযোগিতা করা হচ্ছে তা প্রশংসনীয়। তিনি এক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী ইরানের সঙ্গে সহযোগিতার আগ্রহ প্রকাশ করেন এবং যত শিগগিরই সম্ভব নিহত ইউক্রেনের নাগরিকদের মরদেহ দেশটিতে ফেরত পাঠানোর অনুরোধ করেন।
বিডি প্রতিদিন/ ওয়াসিফ