ইরানের সশস্ত্র বাহিনীর প্রধান মেজর জেনারেল বাকেরি আসন্ন ৪১তম ইসলামি বিপ্লব বিজয় বার্ষিকী উপলক্ষে এক বাণীতে বলেছেন, শত্রুর মোকাবেলায় প্রতিরক্ষা শক্তি বৃদ্ধির প্রক্রিয়া অব্যাহত থাকবে।
ইরানের সশস্ত্র বাহিনী এক মুহূর্তের জন্যও দেশের নিরাপত্তা বিঘ্নিত করার সুযোগ শত্রুকে দেবে না এ কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমাদের সশস্ত্র বাহিনী ইসলামি বিপ্লব ও দেশ রক্ষায় অতন্দ্র প্রহরী।
প্রতিরক্ষা শক্তি নিরাপত্তা রক্ষার একটি গুরুত্বপূর্ণ কৌশলগত হাতিয়ার। এ কারণে ইরান প্রতিরক্ষা নীতিকে সবচেয়ে অগ্রাধিকার দিয়ে থাকে। ইরানের সর্বোচ্চ নেতা এবং প্রতিরক্ষা বিভাগের সর্বাধিনায়ক আয়াতুল্লাহিল উজমা খামেনেয়েী সেনাবাহিনীর বিমান ইউনিটের কমান্ডার ও সদস্যদের এক সমাবেশে বলেছেন, যুদ্ধ থেকে দূরে থাকতে এবং হুমকির অবসান ঘটাতে সব ক্ষেত্রে বিশেষকরে প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে শক্তিশালী হতে হবে। আমরা দুর্বল থাকলে শত্রুরা এগিয়ে আসার সাহস পাবে উল্লেখ করে তিনি আরো বলেছেন, আমরা কোনো দেশ বা জাতির জন্য হুমকি নই বরং নিজ নিরাপত্তা রক্ষা ও শত্রুর হুমকি মোকাবেলায় অবিচল থাকব।
পর্যবেক্ষকরা বলছেন, ইরানের সশস্ত্র বাহিনী প্রতিরক্ষার বিভিন্ন ক্ষেত্রে উন্নয়নের যে বিরাট সাফল্য দেখিয়েছে তা ইরানের নিরাপত্তা রক্ষায় বিরাট ভূমিকা রাখবে। মার্কিন থিংক ট্যাংকের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে ইরান বিশ্বের সবচেয়ে বেশি সংখ্যক ব্যালেস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র মজুদকারী দেশ।
ইরানের সশস্ত্র বাহিনীর প্রধান মেজর জেনারেল বাকেরি এ ব্যাপারে বলেন, যতদিন পর্যন্ত ইরানের বিরুদ্ধে হুমকির ভাষায় কথা বলা হবে ততদিন পর্যন্ত প্রতিরক্ষা শক্তি বৃদ্ধি প্রক্রিয়া অব্যাহত থাকবে।
একটি দেশের প্রতিরক্ষা শক্তি শত্রুর হুমকি মোকাবেলায় খুবই জরুরি। এ ক্ষেত্রে কোনো দেশ দুর্বলতা দেখালেই অপূরণীয় ক্ষতির সম্মুখীন হবে। এ কারণে ইরান যে কোনো হুমকি মোকাবেলায় শক্ত প্রতিরোধ শক্তি গড়ে তুলেছে। ইসলামি বিপ্লবের বরকতে গত কয়েক বছরে ইরানের সশস্ত্র বাহিনী এবং আইআরজিসি আরো সংগঠিত এবং শক্তি অর্জন করেছে। এ ক্ষেত্রে ক্ষেপণাস্ত্র শক্তির কথা উল্লেখ করা যায়।
রাজনৈতিক বিশ্লেষক আব্দুল বারি আতাওয়ান বলেছেন, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ইরানের স্থিতিশীলতা নষ্টের চেষ্টা করছে। কিন্তু ইরান কৌশলগত দিক থেকে খুবই শক্তিশালী অবস্থানে রয়েছে। নিজের সামরিক সক্ষমতা এবং ক্ষেপণাস্ত্র শক্তির সাহায্যে সব কিছু নিয়ন্ত্রণ এবং প্রতিপক্ষকে দ্রুত আত্মসমর্পণ করাতে পারবে।
ইরানের নীতি হচ্ছে যুদ্ধ ও উত্তেজনা এড়িয়ে যাওয়া। কিন্তু প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে কোনো ছাড় দেবে না এবং যেকোনো হুমকিকে কঠোরভাবে মোকাবেলা করবে। ইরানের সশস্ত্র বাহিনীর প্রধান মেজর জেনারেল বাকেরি বলেন, ইসলাম ধর্ম ও ঐশী শিক্ষা অনুযায়ী কোনো দেশের বিরুদ্ধে আগ্রাসন চালানোর পরিকল্পনা ইরানের নেই এবং আমরা কেবল আত্মরক্ষা করব।
বিডি প্রতিদিন/আরাফাত