ভারতের বিভিন্ন রাজ্য বিশেষত পশ্চিমবঙ্গে করোনা টেস্টে ধীর গতির জন্য কার্যত কেন্দ্রের দিকে অভিযোগের আঙুল তুলেছিল রাজ্য সরকার। কলকাতার নাইসেড থেকে দু'সপ্তাহ আগে যে টেস্ট কিট দেয়া হয়েছে সেগুলো ত্রুটিপূর্ণ বলে অভিযোগ উঠেছিল।
এরপরই নড়েচড়ে বসে ভারতের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। অভিযোগ অবশ্য শুধু পশ্চিমবঙ্গ নয়, আরও বেশ কিছু জায়গা থেকে এসেছিল। এরপর মঙ্গলবার ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিকেল রিসার্চ (ICMR)এর পক্ষ থেকে আগামী দুদিন কোন প্রকার র্যাপিড টেস্ট করতে নিষেধ করা হলো।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, আগামী দুদিন দেশে কোনও র্যাপিড টেস্ট হবে না। একটি রাজ্য থেকে ত্রুটিপূর্ণ কিটের অভিযোগ এসেছে। তা নিয়ে তদন্ত হবে। তারপর অ্যাডভাইসরি জারি করা হবে।
গত রবিবার রাজ্য স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ দফতর থেকে এই বিষয়ে একাধিক টুইট করা হয়। ত্রুটিপূর্ণ টেস্ট কিটের কারণে রাজ্য সমস্যার মধ্যে পড়ছে বলে টুইটে উল্লেখ করা হয়েছে। শুধু পশ্চিমবঙ্গ নয়, নাইসেডের পাঠানো ত্রুটিপূর্ণ কিটের কারণে দেশের অন্যান্য ল্যাবগুলোও সমস্যার মধ্যে পড়ছে বলেও রাজ্য সরকার জানিয়েছে।
স্বাস্থ্য দফতর থেকে আরও জানানো হয়েছিল, আগে পুণের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ভিরোলজি থেকে সরাসরি রাজ্যে করোনা টেস্টের কিট পাঠানো হতো। কিন্তু তখন এই সমস্যা ছিল না। কিন্তু সম্প্রতি ICMR-নাইসেড কলকাতা থেকে যে করোনা টেস্ট কিট পাঠানো হয়েছে, সেগুলো ত্রুটিপূর্ণ হওয়ায় কোনও রোগী আক্রান্ত কি না, নিশ্চিত হতে একাধিকবার টেস্ট করতে হচ্ছে। করোনা মহামারির মধ্যে এই ঘটনা নানা সমস্যা সৃষ্টি করছে উল্লেখ করে ICMR-কে বিষয়টি খতিয়ে দেখার অনুরোধ করা হয়েছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, করোনা রুখতে টেস্টই একমাত্র উপায়। লকডাউন অর্থহীন হয়ে যাবে যদি না বেশি সংখ্যায় টেস্ট করা হয়। অথচ এ রাজ্যে টেস্টের পরিমাণ যথেষ্ট কম বলেই অভিযোগ। সূত্র: এই সময়
বিডি প্রতিদিন/আরাফাত