ইমিউনিটি পাসপোর্ট’-এর বিষয়টি হচ্ছে, করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন কিন্তু কোনো উপসর্গ দেখা দেয়নি, রোগী জানতেও পারেননি তিনি করোনায় আক্রান্ত। শরীরে নিজস্ব রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা (ইমিউনিটি) অ্যান্টিবডি তৈরি করে নিয়েছে। আর এমন ব্যক্তিকেই বলা হচ্ছে ইমিউনিটি পাসপোর্টধারী। এদেরকেই খুঁজতে শুরু করেছে ব্রিটেন। করোনাভাইরাস রুখতে বহু দেশই ‘ইমিউনিটি পাসপোর্ট’-এর সন্ধানে অ্যান্টিবডি টেস্ট করাতে শুরু করে দিয়েছে। অনুমোদন দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাও।
ব্রিটেনের ‘করোনাভাইরাস টেস্টিং প্রোগ্রাম’-এর প্রধান জন নিউটনের মতে, খুবই আশাব্যঞ্জক পরীক্ষাটি। অতীতেও অন্য সংক্রমণের ক্ষেত্রে এ ধরনের পরীক্ষা কাজে দিয়েছে। এভাবে রক্ত পরীক্ষা করে দেখা হবে তাতে করোনার অ্যান্টিবডি রয়েছে কিনা।
নিউটন বলেন, ‘অ্যান্টিবডি টেস্ট হলে বোঝা যাবে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ভবিষ্যতে সংক্রমিত হলে, তা রুখতে পারবে কি না। কিন্তু সংক্রমণের মাত্রার উপরেও কিছুটা নির্ভর করবে। বেশি মাত্রায় সংক্রমিত হলে রক্তে উপস্থিত অ্যান্টিবডি কাজ দেবে কি না, তা স্পষ্ট নয়।’
বিশ্বের কয়েকশো কোটি বাসিন্দার মধ্যে এমন অনেকেই রয়েছেন, যাদের কাছে রয়েছে এই ‘ইমিউনিটি পাসপোর্ট’। করোনা প্রতিরোধে দেশের এমন বাসিন্দাদের খোঁজ শুরু করতে চলছে ব্রিটেন।
‘পাবলিক হেলথ ইংল্যান্ড’ শুক্রবার (১৫ মে) জানিয়েছে, তাদের ব্যবহার করা অ্যান্টিবডি টেস্ট পদ্ধতিটি তৈরি করেছে সুইস ওষুধপ্রস্তুতকারী সংস্থা রোশে।
করোনাভাইরাস থেকে সেরে ওঠা ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের আশা প্রকাশ করেন অ্যান্টিবডি টেস্ট-ই ‘গেমচেঞ্জার’ হবে।
প্রশাসনের অন্য এক কর্মকর্তাও বলছেন, ‘সংক্রমণ রুখতে আমাদের অন্যতম পদক্ষেপ হতে চলেছে এই টেস্ট।’
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা অবশ্য বলছে, যত যা-ই করা হোক না কেন, এই ভাইরাস যাওয়ার নয়। একে নিয়েই বাঁচতে শিখতে হবে। পৃথিবীতে এইচআইভি যেভাবে থেকে গেছে ঠিক এমনই করোনাভাইরাস বাসা বাঁধতে পারে মনের রোগও। এমনই আশঙ্কা প্রকাশ করেছে জাতিসংঘ।
ব্রিটেনে করোনায় ৪০ হাজারেরও বেশি লোক মারা গেছেন। আক্রান্ত হয়েছেন প্রায় ২ লাখ ৩০ হাজার মানুষ।
বিডি প্রতিদিন/আরাফাত