নাগোরনো-কারাবাখ নিয়ে আজারবাইজানের সঙ্গে যুদ্ধে পরাজয়ের শঙ্কা থেকেই রাশিয়ার মধ্যস্থতায় শান্তি চুক্তি করেছে আর্মেনিয়া। আর এতেই খেপেছে দেশটির সাধারণ মানুষ।
তারা এই চুক্তিকে পরাজয় হিসেবে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী নিকোল পাশিনিয়ানের পদত্যাগ দাবি করেছেন। এই দাবিতে কয়েকদিন ধরে দেশটিতে ব্যাপক বিক্ষোভ চলছে। এমনকি বিক্ষোভকারীরা দেশটির বিভিন্ন সরকারি স্থাপনায় হামলা পর্যন্ত চালিয়েছে। খবর রেডিও ফ্রি ইউরোপ।
রাশিয়ার মধ্যস্থতায় শান্তির চুক্তির আওতায় আর্মেনিয়া নাগারনো-কারাবাখ অঞ্চল ছেড়ে যাওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। আর সেখানের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে রাশিয়ার সেনাবাহিনী আগামী পাঁচ বছর অবস্থান করবে।
খবরে বলা হয়েছে, মূলত আজারবাইজানের সঙ্গে যুদ্ধে পরাজয় থেকে বাঁচতে আর্মেনিয়া তাদের দখলকৃত অঞ্চল ছেড়ে দিতে রাজি হয়েছে। আর এই চুক্তির পরেই ক্ষোভে রাস্তায় নামেন আর্মেনিয়ানরা। রাজধানী ইয়েরেভানের রাস্তায় হাজার হাজার মানুষ বিক্ষোভে অংশ নেন। এমনকি আর্মেনিয়ার সংসদ ভবনে ঢুকেও বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন তারা।
শান্তিচুক্তি সইয়ের পর পাশিনিয়ান বলেছেন, শান্তিচুক্তিতে সই না করলে পরিস্থিতি আরও খারাপ হতো। এ চুক্তি আর্মেনিয়ার উন্নয়নে ভূমিকা রাখবে।
আজারবাইজানের হামলায় ব্যাপক ক্ষতির মুখে শান্তিচুক্তিতে সই করে আর্মেনিয়া। আজারবাইজানের কাছ থেকে এর আগে দখলে নেয়া ভূখণ্ড থেকে সেনা প্রত্যাহার করতে রাজি হয়েছে দেশটি।
উল্লেখ্য, নাগোরনো-কারাবাখ অঞ্চলের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে ২৭ সেপ্টেম্বর দুই দেশের মধ্যে নতুন করে সংঘর্ষ শুরু হয়। কারাবাখ অঞ্চলটি আন্তর্জাতিকভাবে আজারবাইজানের ভূখণ্ড হিসেবে স্বীকৃত।
বিডি প্রতিদিন/আবু জাফর