৩০ নভেম্বর, ২০২০ ১২:১৪

ব্ল্যাক ফ্রাইডে: যুক্তরাষ্ট্রে অনলাইনে বিক্রি রেকর্ড সংখ্যক পণ্য

অনলাইন ডেস্ক

ব্ল্যাক ফ্রাইডে: যুক্তরাষ্ট্রে অনলাইনে বিক্রি রেকর্ড সংখ্যক পণ্য

উন্নত বিশ্বের অনেক নাগরিক তাদের নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য সরাসরি দোকানে না গিয়ে অনলাইন থেকে ক্রয় করেন। এর মধ্যে আবার মহামারি করোনার প্রকোপ বাড়ছে। 

তাই সশরীরে দোকানে গিয়ে কেনাকাটায় রয়েছে স্বাস্থ্যঝুঁকি। ফলে ক্রেতারা এখন অফলাইন দোকানের পরিবর্তে অনলাইন শপে কেনাকাটাকেই অগ্রাধিকার দিচ্ছেন। এ কারণে এবারের ব্ল্যাক ফ্রাইডেতে যুক্তরাষ্ট্রে অনলাইনে রেকর্ড সংখ্যক পণ্য বিক্রি হয়েছে।

অ্যাডোবি অ্যানালিটিকস, অনলাইন শপিংয়ের তথ্য বিশ্লেষণকারী এই প্রতিষ্ঠানটি জানিয়েছে, এ বছর ব্ল্যাক ফ্রাইডেতে মার্কিনরা রিটেইল ওয়েবসাইটগুলো থেকে পণ্য ক্রয়ের পেছনে মোট ৯০০ কোটি ডলার খরচ করেছে। এর আগের রেকর্ড ছিল ২০১৯ সালে ৭৪০ কোটি ডলার। গত বছরের চেয়ে এবার অনলাইনে কেনাকাটা বেড়েছে ২২ শতাংশ।

একদিকে অনলাইনে কেনাকাটা বেড়েছে, অন্যদিকে দোকানগুলোকে ক্রেতার অভাবে হা-হুতাশ করতে হয়েছে। করোনা মহামারী-সংক্রান্ত সতর্কতার কারণে রিটেইলারগুলো এবার ভিড় এড়ানোর জন্য বিক্রির সময় কমিয়ে দেয়াসহ বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে। ফলে শুক্রবার সেসব দোকানে ক্রেতাদের আনাগোনাও ছিল অনেক কম। রিটেইল ট্র্যাকার সেন্সরম্যাটিক সলিউশনের তথ্য অনুযায়ী, এবারের ব্ল্যাক ফ্রাইডেতে যুক্তরাষ্ট্রের রিটেইল শপগুলোয় ক্রেতাদের উপস্থিতি কমেছে ৫২ শতাংশ।

সেন্সরম্যাটিকের গ্লোবাল রিটেইল কনসাল্টিং বিভাগের জ্যেষ্ঠ পরিচালক ব্রায়ান ফিল্ড জানান, যুক্তরাষ্ট্রের মধ্য-পশ্চিমাঞ্চল ও দক্ষিণাঞ্চলের তুলনায় উত্তর-পূর্বাঞ্চল ও পশ্চিমাঞ্চলের রিটেইলাররা বেশি ক্রেতা সংকটে ভুগেছে। আর পণ্যের মধ্যে বিক্রি সবচেয়ে বেশি কমেছে অলংকার ও পাদুকার। এছাড়া পোশাক বিক্রি ৫০ শতাংশ ও গৃহস্থালি পণ্যের বিক্রি ৩৯ শতাংশ কমেছে বলে রিটেইলনেক্সট জানিয়েছে।

অ্যাডোবি অ্যানালিটিকস বলছে, ব্ল্যাক ফ্রাইডেতে অনলাইন বিক্রি বেড়ে যাওয়ায় সবচেয়ে লাভবান হয়েছে ওয়ালমার্ট কিংবা টার্গেটের মতো বৃহদাকার রিটেইলাররা। তবে ছোট রিটেইলাররাও এই জোয়ার থেকে একেবারে বাদ পড়েনি। থ্যাংকসগিভিং ডে ও ব্ল্যাক ফ্রাইডে উপলক্ষে বড় রিটেইলারদের বিক্রি বেড়েছে ৪০৩ শতাংশ, যেখানে এই দুদিনে ছোট রিটেইলারগুলোর বিক্রি ৩৪৯ শতাংশ বেড়েছে।

বিডি প্রতিদিন/আবু জাফর

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর