৩ ডিসেম্বর, ২০২০ ০৮:৫২

আমিরাতের কাছে যুক্তরাষ্ট্রের অস্ত্র বিক্রি বন্ধের দাবি মানবাধিকার সংস্থাগুলোর

অনলাইন ডেস্ক

আমিরাতের কাছে যুক্তরাষ্ট্রের অস্ত্র বিক্রি বন্ধের দাবি মানবাধিকার সংস্থাগুলোর

আমেরিকার বিদায়ী ট্রাম্প প্রশাসন সংযুক্ত আরব আমিরাতের কাছে অস্ত্র বিক্রির যে অনুমোদন দিয়েছে তা আটকানোর দাবিতে একটি চিঠিতে সই করেছে ২৯টি অস্ত্র নিয়ন্ত্রণ এবং মানবাধিকার সংস্থা। তারা মার্কিন কংগ্রেসের কাছে সামরিক সরঞ্জাম বিক্রির বিশাল ওই চালান বাতিল করতে অনুরোধ জানিয়েছে।

সংযুক্ত আরব আমিরাতের কাছে অস্ত্র বিক্রি আটকানোর এ প্রচেষ্টার অন্যতম উদ্যোক্তা প্রজেক্ট অন মিডল ইস্ট ডেমোক্র্যাসির (পিওএমইডি) অ্যাডভোকেসি অফিসার সেথ বাইন্ডার বলেন, আশা হচ্ছে, এসব অস্ত্র বিক্রি পুরোপুরি বন্ধ করা। যদি অল্প সময়ের মধ্যে না হয়, তবে সেটি আসন্ন বাইডেন প্রশাসনকে গুরুত্বপূর্ণ সংকেত দেবে যে, বিভিন্ন সংস্থা এসব অস্ত্র সরবরাহের বিরুদ্ধে।

সংযুক্ত আরব আমিরাতের কাছে বিপুল অর্থের অস্ত্র বিক্রির জন্য কংগ্রেসকে আনুষ্ঠানিকভাবে এরইমধ্যে নোটিশ দিয়েছে ট্রাম্প প্রশাসন। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও সম্প্রতি অস্ত্র বিক্রির ঘোষণা দেন। মার্কিন কংগ্রেস সবসময় মধ্যপ্রাচ্যে ইসরাইলের সামরিক আধিপত্য বজায় রাখার নীতি অনুসরণ করে আসছে। সেক্ষেত্রে ট্রাম্প প্রশাসনের এই অস্ত্র বিক্রির পরিকল্পনা কংগ্রেস অনুমোদন দেবে কিনা তা দেখার বিষয় রয়েছে।
সম্প্রতি ইসরায়েল এবং সংযুক্ত আরব আমিরাত দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক স্বাভাবিকীকরণের চুক্তি করেছে। এর পরপরই আমেরিকা সংযুক্ত আরব আমিরাতের কাছে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র বিক্রির পরিকল্পনা হাতে নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে। সংযুক্ত আরব আমিরাত দীর্ঘদিন ধরে এফ-৩৫ জঙ্গিবিমান বিক্রির জন্য আমেরিকার কাছে অনুরোধ জানিয়ে আসছে।

মাইক পম্পেও বলেছেন, ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানের পক্ষ থেকে সৃষ্ট হুমকি মোকাবেলায় এবং নিজেকে রক্ষার জন্য সংযুক্ত আরব আমিরাতের উন্নত অস্ত্র ও সামরিক সরঞ্জামাদি প্রয়োজন রয়েছে। সে প্রয়োজন মেটানোর জন্যই ওয়াশিংটন অস্ত্র বিক্রির পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে।

সংযুক্ত আরব আমিরাতের কাছে এসব অস্ত্র বিক্রি করলে ইরানের পক্ষ থেকে সব ধরনের হুমকি এবং চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করা সম্ভব হবে বলে মন্তব্য করেন মাইক পম্পেও।

বিডি প্রতিদিন/ মজুমদার 

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর