চেহারা ‘সুন্দর’ বা ‘অসুন্দর’ তো কারও ব্যক্তিগত কৃতিত্ব বা দোষের বিষয় নয়। তাই শুধু রূপ দিয়ে আর সেরা সুন্দরী নির্বাচন করছে না জার্মানি। এবার ‘মিস জার্মানি’ হয়েছেন দুই সন্তানের এক মা।
সুন্দরী প্রতিযোগিতাগুলো সারা বিশ্বেই এখন সমালোচনার মুখে। সবচেয়ে বড় সমালোচনা- নারীর সৌন্দর্য শুধু চেহারা দিয়ে মূল্যায়ন করা মেধা, চারিত্রিক দৃঢ়তা, কষ্টসাধ্য অর্জনের মতো অনেক কিছুর অবমূল্যায়নের শামিল। মিস জার্মানি প্রতিযোগিতা এই সমালোচনাকে গুরুত্ব দিয়ে গত বছরই ফর্ম্যাটে এনেছিল বড় রকমের পরিবর্তন। তাই সেবার জার্মানির সেরা সুন্দরী হয়েছিলেন ৩৫ বছর বয়সী লিওনি ফন হাসে।
চেহারাকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে সুন্দরী নির্বাচনের নিয়ম থেকে আরও সরে যেতে এবার মিস জার্মানি ২০২১-এর ট্যাগলাইন ঠিক করা হয়েছিল ‘এমপারওয়ারমেন্ট অব অথেন্টিক উইমেন’। মুটিয়ে যাওয়ার আতঙ্কের বিরুদ্ধে লড়ছেন, যৌন নিপীড়নের শিকার হয়েছেন এমন নারীরাও অংশ নিয়েছেন করোনার কারণে দর্শকহীন এই প্রতিযোগিতায়। শেষ পর্যন্ত ১৬ ফাইনালিস্টের বাকিদের পেছনে ফেলে সেরা হয়েছেন থুরিঙ্গিয়ার আনিয়া কালেনবাখ। খবর ডয়চে ভেলের।সুন্দরী প্রতিযোগিতায় এর আগে অনেক পেশার নারীই অংশ নিয়েছেন। তাদের মাঝে মডেলিং করা নারী ছিলেন অনেক। তবে জার্মানির পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য থুরিঙ্গিয়ার সেরা সুন্দরী আনিয়া কালেনবাখের মতো আগে কেউ সাইকেলের ব্যবসা করতেন কি না কে জানে! তবে তাদের কেউ যে আনিয়ার মতো ২৭ বছর বয়সে মডেলিং শুরু করার পরও দেশসরা সুন্দরী হননি তা নিশ্চিত।
আনিয়া কালেনবাখের সংসার এবং সাইকেলের ব্যবসার একজনই পার্টনার। দুজন মিলে দুই সন্তান এবং ব্যবসাটা ভালোই সামলাচ্ছেন তারা।
১৭ বছর বয়সে স্কুল ছেড়ে দিলেও লেখাপড়া ছাড়েননি আনিয়া। পরে একটু দেরিতে হলেও বিজনেস ম্যানেজমেন্টে যেমন পড়াশোনা করেছেন, মিস জার্মানি প্রতিযোগিতার গত আসর দেখে মনে হয়েছিল দেরিতে অংশ নিলেও এখানেও সফল হতে পারবেন। প্রেরণা পেয়েছিলেন প্রতিযোগিতার সবচেয়ে বেশি বয়সী বিজয়ী লিওনি ফন হাসে-র কাছ থেকে। লিওনিই জার্মানির নতুন সেরা সুন্দরীর মুকুট পরিয়েছেন আনিয়াকে।
থুরিঙ্গিয়া রাজ্যের সেরা সুন্দরী হয়ে জার্মানির সেরা হতে এসেছিলেন আনিয়া। সেই লক্ষ্যও পূরণ হওয়ায় খুব খুশি তিনি। সেরার মুকুট মাথায় ওঠার পর জানালেন এবার সমাজের সব স্তরের নারীদের জন্য কিছু করাই হবে তার ভবিষ্যৎ পাথেয়।
বিডি প্রতিদিন/জুনাইদ আহমেদ
