পাশে আছে ‘বন্ধু’ আমেরিকা। তাই আর চীনের রক্তচক্ষুকে পরোয়া করছে না তাইওয়ান। এবার জলসীমায় অনুপ্রবেশ করার জন্য একটি চীনা নৌকা ও ১৩ মৎসজীবীকে আটক করল দ্বীপরাষ্ট্রটির উপকূলরক্ষী বাহিনী। খবর এএনআই’র।
সূত্রের খবর, গত মঙ্গলবার তাইওয়ানের কিলাং উপকূলের পেংজিয়া দ্বীপের পাশে অনুপ্রবেশ করে একটি চীনা মাছ ধরার নৌকা। ফলে তাদের আটক করে তাইওয়ানের উপকূলরক্ষী বাহিনী। বলে রাখা ভাল, পেংজিয়া দ্বীপটিতে খনিজ পদার্থের ভাণ্ডার রয়েছে। এছাড়া, মাছ ধরার জন্য ওই দ্বীপটির আশপাশের এলাকা অত্যন্ত ভাল। প্রতিরক্ষা বিশ্লেষকদের একাংশ মনে করেন। পেংজিয়া দ্বীপ আসলে একটি সামরিক ঘাঁটি। কারণ দ্বীপটিতে সাধারণ নাগরিকদের যেতে দেওয়া হয় না। সেখানকার নিয়ন্ত্রণ সম্পূর্ণভাবে তাইওয়ানের সেনাবাহিনীর হাতে রয়েছে। ফলে আটক হওয়া চিনা মৎসজীবীরা লালফৌজের চর হতে পারে বলেও আশঙ্কা করা হচ্ছে।
সম্প্রতি কমিউনিস্ট দেশটির কার্যকলাপ নজরে রেখে নয়া চুক্তিতে সই করেছে আমেরিকা ও তাইওয়ান। সমুদ্রে চীনা নৌবহরের আগ্রাসী কার্যকলাপের কথা মাথায় রেখে চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে আমেরিকা ও জাপানের উপকূলরক্ষী বাহিনীর মধ্যে। তাইওয়ানে আমেরিকার ডি ফ্যাক্টো দূতাবাস ‘আমেরিকান ইন্সটিটিউট’ থেকে এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, দুই দেশের মধ্যে স্বাক্ষরিত মউ-য়ে উপকূলরক্ষী বাহিনীর মধ্যে পারস্পরিক সহযোগিতা, তথ্যের আদানপ্রদান ও কৌশলগত সহযোগিতার বিষয়টি রয়েছে। এই বিষয়ে তাইওয়ানের প্রিমিয়ার সু সেং-চ্যাং জানান। গত জানুয়ারি মাসে নিজেদের উপকূলরক্ষী বাহিনীর জন্য একটি নতুন আইন প্রণয়ন করে চীন। ওই আইনে ভিন দেশের ‘অনুপ্রবেশকারী’ জাহাজ ও নৌকার ওপর হামলা চালানোর স্বাধীনতা দেওয়া হয় চীনা উপকূলরক্ষীদের। ফলে তারা আরও আগ্রাসী হয়ে উঠেছে। তাই ওই অঞ্চলে স্থিতাবস্থা বজায় রাখতেই এই চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/কালাম