অনৈতিক সম্পর্কে জড়িয়ে বিভৎস এক ঘটনা ঘটালেন ভারতের মুম্বাইয়ে এক গৃহবধূ। জানা গেছে, পরকীয়ায় বাধা দেয়ায় প্রেমিককে সঙ্গে নিয়ে স্বামীকে হত্যার পর তিন টুকরো করে রান্নাঘরের মাটির তলায় পুঁতে রেখেছিলেন ওই নারী। পুরো ঘটনাই নিজের চোখের সামনে ঘটতে দেখেছে ওই নারীর ৬ বছরের কন্যা। খবর ইন্ডিয়া টুডের।
মুম্বাই পুলিশ জানিয়েছে, মৃত ব্যক্তির নাম রইস শেখ। তিনি অভিযুক্ত শাহিদা শেখকে ২০১২ সালে বিয়ে করেন। তখন তারা উত্তরপ্রদেশের গোন্ডায় থাকতেন। দুই বছর আগে মেয়ে ও দুই বছরের ছেলেকে নিয়ে কাজের খোঁজে মুম্বাই আসেন। এখানেই প্রতিবেশী অমিতের সঙ্গে পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়েন শাহিদা। রইস সেই সম্পর্কের কথা জেনে যায়। এ নিয়ে শুরু হয় ঝগড়া-বিবাদ।
পরে তার দিয়ে মেয়ের সামনেই রইসকে শ্বাসরুদ্ধ করে হত্যা করে শাহিদা ও অমিত। তারপর রইসের দেহকে তিন টুকরো করে রান্নাঘরের মাটির তলায় পুঁতে রাখা হয়। ঘটনা তদন্তে নেমে পুলিশ সব রহস্য জানতে পেরে এরইমধ্যে রইসকে হত্যার দায়ে শাহিদা ও অমিতকে গ্রেফতার করেছে।
আরও জানানো হয়েছে, ১২ দিন আগে এই হত্যাকাণ্ড ঘটে। হত্যাকারী শাহিদা নাটক সাজিয়ে স্বামী নিখোঁজ বলে পুলিশকে জানায়। তবে গতকাল বুধবার মুম্বাই পুলিশ রইসের দেহ উদ্ধার করে। ১২ ঘণ্টা ধরে রান্নাঘরের তলায় খোঁড়াখুঁড়ি করতে হয় পুলিশকে। এরপরই পাওয়া যায় রইসের দেহ। প্রায় তিন ফুট নিচে পুঁতে রাখা হয়েছিল রইসের দেহ।
বিডি-প্রতিদিন/শফিক