শিরোনাম
প্রকাশ: ১১:৫৩, শনিবার, ১৪ আগস্ট, ২০২১ আপডেট:

বিবিসি বাংলার প্রতিবেদন

আফগানিস্তানে যেভাবে একটু একটু করে ‘পরাজিত’ হল আমেরিকা

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ভার্সন
আফগানিস্তানে যেভাবে একটু একটু করে ‘পরাজিত’ হল আমেরিকা

আফগানিস্তানে তালেবানের অগ্রাভিযানের খবর যারা টিভিতে দেখছেন, পত্রিকায় পড়ছেন- তাদের অনেকের কাছে মনে হতে পারে ব্যাপারটা যেন আকস্মিক- কীভাবে যেন চোখের পলকে সবকিছু ঘটে গেল।

এক বিধ্বংসী সামরিক অভিযানে ২০০১ সালে তালেবানকে ক্ষমতাচ্যুত করার পর গত ২০ বছর ধরে আফগানিস্তানের সামরিক নিয়ন্ত্রণ ধরে রেখেছিল আমেরিকা ও তার ন্যাটো মিত্ররা। কিন্তু আজ পরিস্থিতি সম্পূর্ণ উল্টে গেছে।

জুলাইয়ের প্রথম সপ্তাহে রাতের অন্ধকারে- প্রায় চুপিসারে - যখন মার্কিন সৈন্যদের শেষ দলটি কাবুলের নিকটবর্তী বাগরাম বিমানঘাঁটি ত্যাগ করে- তার মাত্র ৬ সপ্তাহ পার হতে না হতেই আফগানিস্তানের দুই তৃতীয়াংশ দখল করে করে নিয়েছে তালেবান।

দশটি প্রাদেশিক রাজধানী ইতোমধ্যেই তালেবানের দখলে চলে গেছে- তার সাথে যোগ হয়েছে হেরাত ও কান্দাহারের মত গুরুত্বপূর্ণ শহর।

মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর এক মূল্যায়নে বলা হয়েছে, আফগান নিরাপত্তা বাহিনী যেভাবে ভেঙে পড়েছে- তাতে কয়েক মাস বা এমনকি কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই কেন্দ্রীয় রাজধানী কাবুলের পতন হতে পারে।

কাবুলের পতনের সম্ভাবনা এখন এত দ্রুত সামনে চলে এসেছে যে সেখান থেকে মার্কিন কূটনীতিক ও নাগরিকদের নিরাপদে তুলে নিয়ে যাবার জন্য ৩,০০০ সৈন্য ‘সাময়িকভাবে’ আফগানিস্তানে পাঠাচ্ছে বাইডেন প্রশাসন।

শুধু তাই নয়, মার্কিন পত্রপত্রিকায় খবর বেরিয়েছে যে তাদের দূতাবাসটি বিমানবন্দরের মধ্যে বা কাছে কোথাও সরিয়ে নেওয়া যায় কিনা- সে বিকল্পটিও আলোচনা করেছে প্রেসিডেন্ট বাইডেনের প্রশাসন।

নিউইয়র্ক টাইমস এক রিপোর্টে জানিয়েছে, তালেবান যেন কাবুলের মার্কিন দূতাবাসে হামলা না চালায় সেজন্য মার্কিন আলোচকরা এর মধ্যেই তালেবানের সাথে যোগাযোগ করেছে।

মার্কিন রাজনীতিবিদ ও বিশ্লেষকরা এখন বলছেন যে, ১৯৭৫ সালে যেভাবে ভিয়েতনামের সায়গন থেকে যেভাবে আমেরিকানদেরকে হেলিকপ্টারে করে সরিয়ে নেওয়া হয়েছিল- ২০২১ সালের কাবুলে এখন সেই দৃশ্যের পুনরাবৃত্তি ঘটে কিনা, সেটাই অনেকের মনে উঁকি দিচ্ছে।

কাবুলের পতন মানে পরাজয়ের চূড়ান্ত বিন্দু?

আফগানিস্তান থেকে আমেরিকান সেনা প্রত্যাহারকে অনেক বিশ্লেষকই সমর্থন করেছেন। সাম্প্রতিক জনমত জরিপগুলোতে দেখা যায়, মার্কিন জনগণের অধিকাংশের মধ্যেও এর প্রতি সমর্থন আছে।

কিন্তু প্রেসিডেন্ট বাইডেন সৈন্য প্রত্যাহারের কথা ঘোষণা করার পর তালেবানের কিছু নেতা বলেছেন, তারা এ যুদ্ধে জিতেছেন- আমেরিকা হেরে গেছে।

অন্য অনেক বিশ্লেষকও একে আমেরিকার ‘পরাজয়’ ও ‘পশ্চাদপসরণ’ বলে আখ্যায়িত করেছেন।

তারা বলেছেন, আফগানিস্তান থেকে এমন এক সময় মার্কিন বাহিনী বিদায় নিচ্ছে যখন তাদের অর্জন হিসেবে দেখানোর কিছুই প্রায় নেই। এটা ঠিক যে আল-কায়েদাকে উৎখাতের কথা বলে এ অভিযান শুরু হয়েছিল- তারা এখন তত শক্তিধর নয়, ওসামা বিন লাদেনও নিহত- কিন্তু তাদের আশ্রয়দাতা তালেবান এখন প্রবলভাবে ফিরে এসেছে।

এখন তালেবানের হাতে কাবুলের পতনের সম্ভাবনার মুখে মার্কিন রিপাবলিকান সেনেটর মিচ ম্যাককনেল বলেছেন, “বাইডেন প্রশাসনের স্ট্রাটেজি যুক্তরাষ্ট্রকে এক লজ্জাজনক পরিস্থিতিতে ফেলবে।”

তার কথায়- “প্রেসিডেন্ট বাইডেনের সিদ্ধান্ত যুক্তরাষ্ট্রকে ১৯৭৫ সালের সায়গনের অপমানজনক পতনের চাইতেও খারাপ অবস্থায় নিযে যাচ্ছে।”

অনেকেই এটাও বলতে শুরু করেছেন যে প্রত্যাহার নয়, বরং কাবুলকে রক্ষা করতে এখন আবার মার্কিন ও ন্যাটো সৈন্যদের আফগানিস্তানে পাঠানো উচিৎ।

ম্যাককনেল তার বিবৃতিতে বলেছেন, “এখন আফগান সৈন্যদের সাহায্য না করলে আল-কায়েদা ও তালেবান মিলে কাবুলে আমাদের দূতাবাস পুড়িয়ে দিয়ে এবার ১১ সেপ্টেম্বরের বার্ষিকী পালন করবে।”

দু’ দশকব্যাপী এই আফগান যুদ্ধে আমেরিকা সরকারি হিসাব মতে ৭৭ হাজার ৬০০ কোটি ডলারেরও বেশি অর্থ ব্যয় করেছে, এতে নিহত হয়েছে তাদের ২,৩১২ জন সৈন্য, জখম হয়েছে ২০ হাজারের বেশি, আফগান সৈন্য ও পুলিশ নিহত হয়েছে আনুমানিক ৬৪,০০০। আর আফগান বেসামরিক মানুষ নিহত হয়েছে অন্তত ১১১,০০০।

তাই কাবুলের পতনকে এখন অনেকে দেখতে চাইবেন আফগানিস্তানে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের যুদ্ধ প্রয়াসের পরাজয়ের চরম মুহূর্ত হিসেবে।

কিন্তু কীভাবে এমন একটা পরিস্থিতি তৈরি হলো?

‘বহু বছর ধরে, একটু একটু করে আফগানিস্তানে হেরেছে যুক্তরাষ্ট্র’

ঘটনাপ্রবাহ দেখে মার্কিন বিশ্লেষকরাও এখন বলছেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এ ‘পরাজয়’ আসলে আকস্মিক কিছু নয়, এটা ঘটেছে বহু বছর ধরে- একটু একটু করে।

মার্কিন সাংবাদিক ও বিশ্লেষক ফরিদ জাকারিয়া শুক্রবারই সিএনএন-এ এক অনুষ্ঠানে বলেছেন, তালেবানের এই পুনরুত্থান আকস্মিক নয়, বরং গত ১০-১৫ বছর ধরেই তালেবানের ধীরে ধীরে শক্তিবৃদ্ধি হচ্ছিল।

আফগানিস্তানে ২০০১ সালের অক্টোবর মাসে শুরু হওয়া মার্কিন বাহিনীর প্রচণ্ড আক্রমণে তালেবানের পতনের পর কাবুলে অনেক তরুণের দাড়ি কামিয়ে ফেলার দৃশ্য টিভির পর্দায় দেখানো হয়েছিল।

কিন্তু আসলে তালেবান কখনওই সম্পূর্ণ পরাজিত হয়নি।

আফগানিস্তানে বিপুল পরিমাণ বিদেশি সৈন্যের উপস্থিতি সত্ত্বেও তালেবান আবারও সংগঠিত হয়ে ক্রমাগত তাদের শক্তি বাড়ায়, আফগানিস্তানের নানা অঞ্চলে আবার তাদের প্রভাব বিস্তার করে।

আফগানিস্তানের বিস্তীর্ণ অঞ্চলকে তারা বিপজ্জনক করে তুলেছিল এবং তাদের চোরাগোপ্তা বা আত্মঘাতী আক্রমণ, ঘরে তৈরি বোমা বিস্ফোরণ ও সহিংসতা বছরের পর বছর ধরে অব্যাহতভাবেই চলছিল।

কাবুলে তারা বহু হামলা চালিয়েছে এবং ২০১২ সালের সেপ্টেম্বরে তালেবান এমনকি ন্যাটো জোটের ক্যাম্প বাস্টিয়ন ঘাঁটিতেও এক বিরাট দুঃসাহসিক অভিযান চালায়।

অন্যদিকে তালেবানের ওপর মার্কিন ও ন্যাটো বাহিনীর অনেক বিমান হামলায় নিহত হয় অসংখ্য বেসামরিক আফগান- যা মার্কিন সামরিক প্রয়াস সম্পর্কে গুরুতর প্রশ্নের জন্ম দেয়।

বহু এলাকায় তালেবানের নিয়ন্ত্রণ ফিরে আসে

তালেবানের প্রাধান্য মূলত কেন্দ্রীভূত ছিল আফগানিস্তানের দক্ষিণে এবং দক্ষিণপশ্চিমে তাদের বরাবরের শক্ত ঘাঁটিগুলোর আশপাশের এলাকায়, এবং উত্তরে হেলমান্দ, কান্দাহার, উরুযগান এবং জাবুল প্রদেশে। এছাড়াও উত্তর-পশ্চিমের ফারিয়াব পর্বতমালা ও উত্তর-পূর্বের বাদাখশান পাহাড়ি এলাকাতেও তাদের প্রাধান্য ছিল বেশি।

বিবিসির ২০১৭ সালে করা এক গবেষণায় দেখা যায়- আফগানিস্তানের বেশ কয়েকটি জেলা পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণ করছে তালেবান।

ওই গবেষণায় আরও দেখা যায়, দেশটির আরও বহু এলাকায় তারা বেশ সক্রিয়, যেখানে কিছু কিছু এলাকায় তারা প্রতি সপ্তাহে বা প্রতি মাসে হামলা চালাতো। তাতে এটা স্পষ্ট হয়ে গিয়েছিল যে আগে যা ধারণা করা হতো, তালেবানের শক্তি তার চেয়ে অনেক বেশি ছিল।

আফগানিস্তানে মাদক ব্যবসার জন্য পপি চাষ হয় এমন বহু এলাকাও তালেবান নিয়ন্ত্রণ করে এবং এ থেকে তাদের প্রতিবছর কোটি কোটি ডলার আয় হয় বলে ধারণা করা হয়।

আর তালেবানের তৎপরতার পেছনে পাকিস্তানের গোপন সহযোগিতা ও আশ্রয়-প্রশ্রয়ের অভিযোগ বহু পুরোনো - যদিও পাকিস্তান তা স্বীকার করে না।

মার্কিন ও ন্যাটো সেনাবাহিনী ও আফগান সরকারি বাহিনী কখনওই তালেবানের বিদ্রোহী তৎপরতা পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আনতে পারেনি।

মার্কিন সামরিক তৎপরতা ব্যর্থ হচ্ছিল

ওয়াশিংটন পোস্ট দৈনিকে সাংবাদিক-বিশ্লেষক ইশান থারুর লিখেছেন, তালেবানের আক্রমণের মুখে আফগানিস্তান যেভাবে এত দ্রুতগতিতে ভেঙে পড়ছে- তা “যুক্তরাষ্ট্রের এক দীর্ঘ ও ধীরগতির পরাজয়।”

তার মতে, ২০০১ সালে তালেবান যখন ক্ষমতাচ্যুত হয়েছিল- তার পরবর্তী ২০ বছরের মধ্যে এখনই তারা সবচেয়ে শক্তিশালী অবস্থানে আছে।

তিনি বলছেন, পরিস্থিতি যে এমন হতে পারে তার আভাস অনেক আগেই পাওয়া গিয়েছিল। আফগানিস্তানে মার্কিন সামরিক তৎপরতা এবং দেশ-গঠনের প্রক্রিয়া যে ব্যর্থ হচ্ছে- তা অনেক দিন ধরেই স্পষ্ট হয়ে গিয়েছিল।

যুক্তরাষ্ট্রের মেরিল্যান্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্কের শিক্ষক এবং আফগান রাজনীতি ও নিরাপত্তা বিশ্লেষক ড. আসিম ইউসুফজাই বলেছেন, আমেরিকানদের কৌশল ছিল আফগানিস্তানের প্রধান শহরগুলোকে কব্জায় রাখা। কিন্তু শহরের বাইরে গ্রাম-গঞ্জ তালেবানের নিয়ন্ত্রণে থেকে গিয়েছিল।

কিন্তু মার্কিন রাজনৈতিক ও সামরিক নেতৃত্ব তা স্বীকার করতে চাননি।

ক্রেগ হুইটলকের সেই রিপোর্ট

মার্কিন প্রশাসনের অভ্যন্তরীণ বহু দলিলপত্রের বয়ান প্রকাশ করে ২০১৯ সালের ডিসেম্বর মাসে এক সাড়া জাগানো রিপোর্ট করেছিলেন ওয়াশিংটন পোস্টের সাংবাদিক ক্রেগ হুইটলক।

“আফগানিস্তান পেপার্স: এ সিক্রেট হিস্ট্রি অব দ্য ওয়ার- এ্যাট ওয়ার উইথ দ্য ট্রুথ” শিরোনামের ওই অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে তিনি দেখিয়েছিলেন যে মার্কিন কর্মকর্তারা মুখে যতই বলুন না কেন যে তারা আফগানিস্তানের পরিস্থিতির অগ্রগতি ঘটাচ্ছেন- তা আসলে সঠিক ছিল না। ওই কর্মকর্তারাও জানতেন যে কোনও অগ্রগতি হচ্ছে না।

ক্রিগ হুইটলক লিখেছিলেন, একের পর এক মার্কিন প্রশাসন এটা স্বীকার করে নিয়েছিল যে তালেবানকে হারানো সহজ হবে না, আফগান রাষ্ট্রটি দুর্বল এবং দুর্নীতিতে ভরা, তাই কোনও সমন্বিত নীতি ছাড়া এগিয়ে যাওয়াটাও “পরাজয় স্বীকার করে নেওয়ার চাইতে ভাল।”

হুইটলক ব্যাখ্যা করেছিলেন যে বহু অপ্রকাশিত দলিলপত্র ও সাক্ষাৎকার থেকে এটা বোঝা যায় যে তিন প্রেসিডেন্ট জর্জ ডব্লিউ বুশ, বারাক ওবামা ও ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসনগুলো দুই দশক ধরে এ সত্যকে লুকিয়ে রেখেছিল।

“যে যুদ্ধের প্রতি এক সময় আমেরিকানদের বিপুল সমর্থন ছিল-সে যুদ্ধে তারা ধীরে ধীরে হেরে যাচ্ছিলেন” - হুইটলক বলেন, এটা স্বীকার না করে বরং সামরিক ও রাজনৈতিক নেতারা তাদের ভুলগুলো লুকানোর বিকল্পটিই বেছে নেন, এবং যুদ্ধটিকে হাতছাড়া হয়ে যেতে দেন।

কোনও মার্কিন প্রেসিডেন্টই আফগানিস্তানে বিপর্যয়ের কথা স্বীকার করেননি

ক্রেগ হুইটলক তার রিপোর্টে বলেন, প্রেসিডেন্ট জর্জ বুশ প্রাথমিক সতর্কবাণী ধামাচাপা দিয়ে আফগান যুদ্ধকে উজ্জ্বলভাবে তুলে ধরার চেষ্টা করেছিলেন।

আফগানিস্তানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সেখানে সৈন্যসংখা ব্যাপকভাবে বাড়িয়েছিলেন পরবর্তী প্রেসিডেন্ট ওবামা।

তার সময় এক পর্যায়ে মার্কিন সৈন্যসংখ্যা ১১০,০০০ তে উঠেছিল । এর ফলে ২০০৯ সাল নাগাদ তালেবানকে অনেকটা পেছনে ঠেলে দেওয়া সম্ভব হয়েছিল, কিন্তু তাও দীর্ঘদিন স্থায়ী হয়নি।

বছরের পর বছর ধরে তালেবান আক্রমণ চলতেই থাকে। সবচেয়ে রক্তাক্ত বছর ছিল ২০১৪ সাল।

সেই বছরই প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার উপস্থিতিতে কাবুলে মার্কিন ও ন্যাটো বাহিনীর হেডকোয়ার্টারে এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে জানানো হয়- আফগানিস্তানে তাদের ‘কমব্যাট মিশন’ বা প্রত্যক্ষ সামরিক তৎপরতা শেষ হচ্ছে এবং আফগান সেনাবাহিনী ও পুলিশই তাদের দেশের নিরাপত্তার দায়িত্ব হাতে নিচ্ছে। মার্কিন ও ন্যাটো বাহিনী শুধু প্রশিক্ষক ও পরামর্শক হিসেবে থাকবে।

কিন্তু আসলে যুদ্ধের আদৌ কোনও সমাপ্তি হয়নি। বরং এ সময় তালেবান কিছু ভূখণ্ড পুনর্দখল করে।

হুইটলকের কথায়, বারাক ওবামা আফগানিস্তানে মার্কিন যুদ্ধ শেষ হবার একটি ‘বিভ্রম’ তৈরি করেছিলেন।

এর পরের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জোর গলায় বিদেশে মার্কিন বাহিনীর ব্যয়বহুল সামরিক কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়ার অবসানের কথা বলেছিলেন।

কিন্তু তিনিও আফগানিস্তানে মার্কিন বিমান হামলা বাড়িয়ে দেন- যাতে এক জরিপ অনুযায়ী বেসামরিক আফগানদের মৃত্যুর পরিমাণ প্রায় ৩৩০ শতাংশ বেড়ে যায়।

নিউইয়র্ক টাইমসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, আমেরিকান প্রেসিডেন্টরা আফগানিস্তান থেকে সৈন্যদের দেশে ফিরিয়ে আনার কথা বললেও শেষ পর্যন্ত তা করেননি।

আফগান সৈন্যরা বিনাযুদ্ধে রণে ভঙ্গ দিচ্ছে

মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন অবশ্য ক্ষমতাসীন হবার পর ঘোষণা করেন তিনি ২০২১ সালের ১১ সেপ্টেম্বরের মধ্যেই সব মার্কিন সৈন্য দেশে ফিরিয়ে আনবেন।

মাত্র কিছু দিন আগেই বাইডেনকে প্রশ্ন করা হয়েছিল- এর ফলে তালেবান আবার আফগানিস্তান পুনর্দখল করবে কিনা।

তিনি জবাব দেন, তা হবে না- কারণ আফগান সেনাবাহিনীর সৈন্য সংখ্যা ৩ লাখ যা তালেবানের চাইতে অনেক বেশি, এবং রাজনৈতিক সমাধান নিয়েও আশাবাদ প্রকাশ করেন তিনি।

স্পষ্টতই ঘটনাপ্রবাহ এখন সম্পূর্ণ বিপরীত দিকে যাচ্ছে।
বিভিন্ন জায়গায়, বিশেষ করে প্রত্যন্ত এলাকাগুলোতে আফগান সেনাবাহিনী এবং পুলিশ কতটা দিশেহারা হয়ে পড়েছে- তার খবর প্রতিদিনই এমনকি পশ্চিমা মিডিয়াতেও বের হচ্ছে।

শত শত সৈনিক লড়াই না করেই তালেবানের হাতে অস্ত্র, যানবাহন, রসদ তুলে দিয়ে ইউনিফর্ম খুলে চলে যাচ্ছে। অনেক সৈন্য তাজিকিস্তান পালিয়ে গেছে।

বিশ্লেষকরা বলছেন, অনেক ক্ষেত্রেই আঞ্চলিক মিলিশিয়াদের সহযোগিতা ছাড়া আফগান সরকারি বাহিনী তালেবানের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে টিকতে পারছিল না।

অবশেষে তালেবানের সাথে যুক্তরাষ্ট্রের শান্তি চুক্তি

দোহায় ২০১৩ সালে তালেবানের অফিস খোলার মধ্যে দিয়ে শান্তি প্রক্রিয়া শুরু হলেও বছরের পর বছর এতে তেমন কোনও অগ্রগতি হয়নি।

তবে ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট হবার পর সৈন্য প্রত্যাহারের প্রয়াসে বড় ঘটনা ঘটে ২০২০ সালের ২৯ ফেব্রুয়ারি দোহায় যুক্তরাষ্ট্র ও তালেবানের মধ্যে শান্তি চুক্তি স্বাক্ষরের মধ্যে দিয়ে।

এর শর্ত ছিল- যুক্তরাষ্ট্র আফগানিস্তান থেকে তাদের সৈন্য প্রত্যাহার করবে এবং তালেবানও আর মার্কিন বাহিনীর ওপর কোনও হামলা চালাবে না।

চুক্তির আরও শর্তের মধ্যে ছিল তালেবান আর আল-কায়েদা কিংবা অন্য কোনও জঙ্গি সংগঠনকে তাদের নিয়ন্ত্রিত এলাকায় আশ্রয় দেবে না এবং আফগান শান্তি আলোচনা চালিয়ে যাবে।

এরপর তালেবান বিদেশি সৈন্যদের ওপর আক্রমণ বন্ধ করলেও আফগান সরকারি বাহিনী, সরকারি স্থাপনা ও দফতরে হামলা এবং বিভিন্ন লোককে টার্গেট করে হত্যা বন্ধ করেনি তালেবান।

বরং তা আরও তীব্র হতে থাকে, আফগানিস্তানের বিভিন্ন অংশে তালেবান নিয়ন্ত্রিত এলাকাও বড় হতে থাকে।

এর মধ্যেই আমেরিকানদের চাপে আফগান সরকার প্রায় ৫ হাজার তালেবান বন্দী মুক্তি দেয়, আর ২০২০-এর সেপ্টেম্বরে শুরু হয় আফগান সরকারের প্রতিনিধিদের সাথে তালেবানের রাজনৈতিক সমাধানের আলোচনা- যাতে এখন পর্যন্ত কোনও ঐকমত্য হয়নি।

এর মধ্যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে নির্বাচনে ট্রাম্পকে হারিয়ে প্রেসিডেন্ট হন জো বাইডেন- আর এ বছর মার্চ থেকে ক্রমে বিদেশি সৈন্যদের প্রত্যাহার শুরু হয়।

তবে সবচেয়ে বড় ঘটনা- ২ জুলাই রাতে বাগরাম ঘাঁটি খালি করে দিয়ে মার্কিন সৈন্যদের বিদায়।

তারপরই তালেবান শুরু করে তাদের ঝটিকা অভিযান - যার ফলে এখন আফগানিস্তানের ৩৪টি প্রাদেশিক রাজধানীর অর্ধেকেরও বেশি তাদের নিয়ন্ত্রণে এসে গেছে।

যখন কাবুলের পতন সময়ের ব্যাপার মাত্র বলে বলছেন বিশ্লেষকরা- তখন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র অন্তত এখন পর্যন্ত প্রতিরোধ যুদ্ধের কথা বলছে না।

তারা এখন ব্যস্ত কীভাবে কাবুল থেকে আমেরিকানদের নিরাপদে বের করে নিয়ে যাবার চেষ্টায়।

এর মধ্যে দিয়েই দু’ দশকব্যাপী আফগান যুদ্ধের শেষ পর্ব সম্পন্ন হয় কি না- তাই এখন দেখার।

বিডি প্রতিদিন/কালাম

এই বিভাগের আরও খবর
বাংলাদেশি ভিসাপ্রত্যাশীদের সোশ্যাল মিডিয়া ‘পাবলিক’ করার নির্দেশ মার্কিন দূতাবাসের
বাংলাদেশি ভিসাপ্রত্যাশীদের সোশ্যাল মিডিয়া ‘পাবলিক’ করার নির্দেশ মার্কিন দূতাবাসের
যুদ্ধবিরতির পরেও চাপা বিস্ফোরণ, পারমাণবিক ইস্যুতে ফের উত্তেজনা
যুদ্ধবিরতির পরেও চাপা বিস্ফোরণ, পারমাণবিক ইস্যুতে ফের উত্তেজনা
ভারতের উত্তরাখণ্ডে বাস নদীতে পড়ে নিহত ১
ভারতের উত্তরাখণ্ডে বাস নদীতে পড়ে নিহত ১
ভারতে ১১ দিন ধরে আটকে ব্রিটিশ এফ-৩৫ যুদ্ধবিমান, বাড়ছে রহস্য
ভারতে ১১ দিন ধরে আটকে ব্রিটিশ এফ-৩৫ যুদ্ধবিমান, বাড়ছে রহস্য
মারাই গেলেন সেই ইরানি কমান্ডার
মারাই গেলেন সেই ইরানি কমান্ডার
ইরানে ট্রাম্পের হামলা যেভাবে উত্তর কোরিয়াকে আরও শক্তিশালী করবে
ইরানে ট্রাম্পের হামলা যেভাবে উত্তর কোরিয়াকে আরও শক্তিশালী করবে
জোহরান মামদানির জয় যুক্তরাষ্ট্রকে কি বার্তা দিচ্ছে?
জোহরান মামদানির জয় যুক্তরাষ্ট্রকে কি বার্তা দিচ্ছে?
ইরানের পারমাণবিক কেন্দ্রে হামলা, ক্ষতি আসলে কতোটা?
ইরানের পারমাণবিক কেন্দ্রে হামলা, ক্ষতি আসলে কতোটা?
‘হামলাটাই যুদ্ধ থামিয়েছে’, ট্রাম্পের আত্মবিশ্বাসী ঘোষণা
‘হামলাটাই যুদ্ধ থামিয়েছে’, ট্রাম্পের আত্মবিশ্বাসী ঘোষণা
ইরানে ইসরায়েলি হামলায় ১২ দিনে নিহত বেড়ে ৬২৭
ইরানে ইসরায়েলি হামলায় ১২ দিনে নিহত বেড়ে ৬২৭
ইরানের সঙ্গে যুদ্ধ করে অস্ত্র সংকটে পড়েছে ইসরায়েল: এনবিসি
ইরানের সঙ্গে যুদ্ধ করে অস্ত্র সংকটে পড়েছে ইসরায়েল: এনবিসি
আগামী সপ্তাহে বৈঠকে বসবে যুক্তরাষ্ট্র ও ইরান: ট্রাম্প
আগামী সপ্তাহে বৈঠকে বসবে যুক্তরাষ্ট্র ও ইরান: ট্রাম্প
সর্বশেষ খবর
যেভাবে বানাবেন হোয়াটসঅ্যাপে এআই ছবি
যেভাবে বানাবেন হোয়াটসঅ্যাপে এআই ছবি

৮ মিনিট আগে | টেক ওয়ার্ল্ড

আউয়ালের সঙ্গে নুরুল হুদার ফের ১০ দিনের রিমান্ড চাইল পুলিশ
আউয়ালের সঙ্গে নুরুল হুদার ফের ১০ দিনের রিমান্ড চাইল পুলিশ

১৩ মিনিট আগে | জাতীয়

নোয়াখালীতে পুকুরে কুমির, এলাকায় তোলপাড়
নোয়াখালীতে পুকুরে কুমির, এলাকায় তোলপাড়

১৭ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

বাংলাদেশি ভিসাপ্রত্যাশীদের সোশ্যাল মিডিয়া ‘পাবলিক’ করার নির্দেশ মার্কিন দূতাবাসের
বাংলাদেশি ভিসাপ্রত্যাশীদের সোশ্যাল মিডিয়া ‘পাবলিক’ করার নির্দেশ মার্কিন দূতাবাসের

২১ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

টাঙ্গুয়ার হাওরে গাঁজা সেবন, ৫ পর্যটকের কারাদণ্ড
টাঙ্গুয়ার হাওরে গাঁজা সেবন, ৫ পর্যটকের কারাদণ্ড

৩৩ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

ভুলেও ফ্রিজে রাখবেন না যেসব ফল
ভুলেও ফ্রিজে রাখবেন না যেসব ফল

৩৪ মিনিট আগে | জীবন ধারা

জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির সভা সন্ধ্যায়
জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির সভা সন্ধ্যায়

৩৮ মিনিট আগে | জাতীয়

কাঁকরোল খেলে পাওয়া যাবে যেসব উপকার
কাঁকরোল খেলে পাওয়া যাবে যেসব উপকার

৩৯ মিনিট আগে | জীবন ধারা

যুদ্ধবিরতির পরেও চাপা বিস্ফোরণ, পারমাণবিক ইস্যুতে ফের উত্তেজনা
যুদ্ধবিরতির পরেও চাপা বিস্ফোরণ, পারমাণবিক ইস্যুতে ফের উত্তেজনা

৪১ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ঢাকার বাতাস আজ ‘সহনীয়’
ঢাকার বাতাস আজ ‘সহনীয়’

৪৬ মিনিট আগে | নগর জীবন

ভারতের উত্তরাখণ্ডে বাস নদীতে পড়ে নিহত ১
ভারতের উত্তরাখণ্ডে বাস নদীতে পড়ে নিহত ১

৫৬ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ভারতে ১১ দিন ধরে আটকে ব্রিটিশ এফ-৩৫ যুদ্ধবিমান, বাড়ছে রহস্য
ভারতে ১১ দিন ধরে আটকে ব্রিটিশ এফ-৩৫ যুদ্ধবিমান, বাড়ছে রহস্য

৫৯ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

মারাই গেলেন সেই ইরানি কমান্ডার
মারাই গেলেন সেই ইরানি কমান্ডার

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বারবডোজ টেস্ট: প্রথম দিনে পতন ১৪ উইকেটের
বারবডোজ টেস্ট: প্রথম দিনে পতন ১৪ উইকেটের

১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

বিএনপির সঙ্গে ইইউ রাষ্ট্রদূতের বৈঠক
বিএনপির সঙ্গে ইইউ রাষ্ট্রদূতের বৈঠক

১ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

কলম্বো টেস্ট: বাংলাদেশকে ২৪৭ রানে থামালো শ্রীলঙ্কা
কলম্বো টেস্ট: বাংলাদেশকে ২৪৭ রানে থামালো শ্রীলঙ্কা

১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ইরানে ট্রাম্পের হামলা যেভাবে উত্তর কোরিয়াকে আরও শক্তিশালী করবে
ইরানে ট্রাম্পের হামলা যেভাবে উত্তর কোরিয়াকে আরও শক্তিশালী করবে

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

গোপালগঞ্জে বিশ্ব পরিবেশ দিবস উদযাপন
গোপালগঞ্জে বিশ্ব পরিবেশ দিবস উদযাপন

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সূচক বেড়ে পুঁজিবাজারে লেনদেন চলছে
সূচক বেড়ে পুঁজিবাজারে লেনদেন চলছে

১ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

বিচ্ছেদের ঘোষণা কণার, স্বামী বললেন ‘বিচ্ছেদ হয়নি’
বিচ্ছেদের ঘোষণা কণার, স্বামী বললেন ‘বিচ্ছেদ হয়নি’

১ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

গোপালগঞ্জে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ১, আহত ১০
গোপালগঞ্জে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ১, আহত ১০

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

জোহরান মামদানির জয় যুক্তরাষ্ট্রকে কি বার্তা দিচ্ছে?
জোহরান মামদানির জয় যুক্তরাষ্ট্রকে কি বার্তা দিচ্ছে?

২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

শৈশবের ক্লাবে ম্যারাডোনার মতো সম্মান মেসিকে
শৈশবের ক্লাবে ম্যারাডোনার মতো সম্মান মেসিকে

২ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ইরানের পারমাণবিক কেন্দ্রে হামলা, ক্ষতি আসলে কতোটা?
ইরানের পারমাণবিক কেন্দ্রে হামলা, ক্ষতি আসলে কতোটা?

২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

‘হামলাটাই যুদ্ধ থামিয়েছে’, ট্রাম্পের আত্মবিশ্বাসী ঘোষণা
‘হামলাটাই যুদ্ধ থামিয়েছে’, ট্রাম্পের আত্মবিশ্বাসী ঘোষণা

২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সভাপতি রিফাত, সম্পাদক ইনামুল
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সভাপতি রিফাত, সম্পাদক ইনামুল

২ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

এইচএসসি পরীক্ষার দুই কেন্দ্র পরিদর্শন করবেন শিক্ষা উপদেষ্টা
এইচএসসি পরীক্ষার দুই কেন্দ্র পরিদর্শন করবেন শিক্ষা উপদেষ্টা

২ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

রিয়ালের অনুশীলনে ফিরলেন এমবাপে
রিয়ালের অনুশীলনে ফিরলেন এমবাপে

২ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

সাজিদের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ এষার
সাজিদের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ এষার

২ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

দিলজিতকে নিষিদ্ধে মোদির কাছে ৫ দফা দাবি, চাপে পাঞ্জাবি তারকা
দিলজিতকে নিষিদ্ধে মোদির কাছে ৫ দফা দাবি, চাপে পাঞ্জাবি তারকা

২ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

সর্বাধিক পঠিত
ইরানের হামলায় ধ্বংসযজ্ঞ, ক্ষতিপূরণের ৩৯ হাজার আবেদন ইসরায়েলে
ইরানের হামলায় ধ্বংসযজ্ঞ, ক্ষতিপূরণের ৩৯ হাজার আবেদন ইসরায়েলে

২১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইরানে আবারও হামলার হুমকি দিলেন ট্রাম্প
ইরানে আবারও হামলার হুমকি দিলেন ট্রাম্প

১৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইরানের সঙ্গে মনস্তাত্ত্বিক যুদ্ধে জিততে ইসরায়েলের যে ভয়ঙ্কর কৌশল ব্যর্থ হয়!
ইরানের সঙ্গে মনস্তাত্ত্বিক যুদ্ধে জিততে ইসরায়েলের যে ভয়ঙ্কর কৌশল ব্যর্থ হয়!

১৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

‘বাবাকে মাঝে মধ্যে শক্ত ভাষা ব্যবহার করতে হয়’ : ট্রাম্পের গালির বিষয়ে ন্যাটো প্রধান
‘বাবাকে মাঝে মধ্যে শক্ত ভাষা ব্যবহার করতে হয়’ : ট্রাম্পের গালির বিষয়ে ন্যাটো প্রধান

১৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

হামলার পর ফরদোর পরিস্থিতি দেখতে গিয়েছিল ইসরায়েলি এজেন্টরা: ট্রাম্প
হামলার পর ফরদোর পরিস্থিতি দেখতে গিয়েছিল ইসরায়েলি এজেন্টরা: ট্রাম্প

১৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সাহায্য করতে চেয়ে ট্রাম্পকে ফোন করেছিলেন পুতিন
সাহায্য করতে চেয়ে ট্রাম্পকে ফোন করেছিলেন পুতিন

২১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইরান সাহসিকতার সঙ্গে লড়াই করেছে, স্বীকার করলেন ট্রাম্প
ইরান সাহসিকতার সঙ্গে লড়াই করেছে, স্বীকার করলেন ট্রাম্প

১৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইরানের সঙ্গে যুদ্ধ করে অস্ত্র সংকটে পড়েছে ইসরায়েল: এনবিসি
ইরানের সঙ্গে যুদ্ধ করে অস্ত্র সংকটে পড়েছে ইসরায়েল: এনবিসি

১২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

হামলায় পারমাণবিক স্থাপনাগুলো ‘ভয়াবহভাবে ক্ষতিগ্রস্ত’ হয়েছে: ইরান
হামলায় পারমাণবিক স্থাপনাগুলো ‘ভয়াবহভাবে ক্ষতিগ্রস্ত’ হয়েছে: ইরান

১৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

হার্দিকের সঙ্গে প্রেমের গুঞ্জনে মুখ খুললেন বলিউড অভিনেত্রী
হার্দিকের সঙ্গে প্রেমের গুঞ্জনে মুখ খুললেন বলিউড অভিনেত্রী

১৮ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

ইরানের পারমাণবিক কেন্দ্রে হামলা, ক্ষতি আসলে কতোটা?
ইরানের পারমাণবিক কেন্দ্রে হামলা, ক্ষতি আসলে কতোটা?

২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

কমলাপুর স্টেশনে ট্রেনের টয়লেটে যাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ, রেলওয়ে কর্মচারী আটক
কমলাপুর স্টেশনে ট্রেনের টয়লেটে যাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ, রেলওয়ে কর্মচারী আটক

২০ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

৬ বছরের সংসার ভাঙলো কনার
৬ বছরের সংসার ভাঙলো কনার

৮ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

আইএইএর সঙ্গে সহযোগিতা বন্ধের বিল পাস করল ইরানের পার্লামেন্ট
আইএইএর সঙ্গে সহযোগিতা বন্ধের বিল পাস করল ইরানের পার্লামেন্ট

২২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইসরায়েল সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে ৭০০ জনকে গ্রেফতার করেছে ইরান
ইসরায়েল সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে ৭০০ জনকে গ্রেফতার করেছে ইরান

২৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

নোবেলের বিয়ে নিয়ে প্রথম স্ত্রীর ইঙ্গিতপূর্ণ পোস্ট!
নোবেলের বিয়ে নিয়ে প্রথম স্ত্রীর ইঙ্গিতপূর্ণ পোস্ট!

১৫ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

এবার গ্রেপ্তার সাবেক সিইসি হাবিবুল আউয়াল
এবার গ্রেপ্তার সাবেক সিইসি হাবিবুল আউয়াল

২২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

দুদক সচিব খোরশেদা ইয়াসমীন ওএসডি
দুদক সচিব খোরশেদা ইয়াসমীন ওএসডি

২০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

যুদ্ধবিরতিতে এখনো স্বীকৃতি দেননি ইরানের সর্বোচ্চ নেতা
যুদ্ধবিরতিতে এখনো স্বীকৃতি দেননি ইরানের সর্বোচ্চ নেতা

১৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইরানের পরমাণু স্থাপনা ধ্বংস না হওয়ার খবর আবারও নাকচ করলেন ট্রাম্প
ইরানের পরমাণু স্থাপনা ধ্বংস না হওয়ার খবর আবারও নাকচ করলেন ট্রাম্প

২১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

দুর্নীতির শাস্তি, ওসি থেকে এসআই
দুর্নীতির শাস্তি, ওসি থেকে এসআই

১৯ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ইরানে ট্রাম্পের হামলা যেভাবে উত্তর কোরিয়াকে আরও শক্তিশালী করবে
ইরানে ট্রাম্পের হামলা যেভাবে উত্তর কোরিয়াকে আরও শক্তিশালী করবে

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

এক ব্যক্তি প্রধানমন্ত্রী পদে সর্বোচ্চ ১০ বছর, শর্তসাপেক্ষে একমত বিএনপি
এক ব্যক্তি প্রধানমন্ত্রী পদে সর্বোচ্চ ১০ বছর, শর্তসাপেক্ষে একমত বিএনপি

১৬ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

বিমান চলাচল বন্ধ রাখার সময় বাড়িয়েছে ইরান
বিমান চলাচল বন্ধ রাখার সময় বাড়িয়েছে ইরান

১৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আগামী সপ্তাহে বৈঠকে বসবে যুক্তরাষ্ট্র ও ইরান: ট্রাম্প
আগামী সপ্তাহে বৈঠকে বসবে যুক্তরাষ্ট্র ও ইরান: ট্রাম্প

১৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইরানের পরমাণু কর্মসূচি ধসিয়ে দেয়ার দাবি নেতানিয়াহুর
ইরানের পরমাণু কর্মসূচি ধসিয়ে দেয়ার দাবি নেতানিয়াহুর

২২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইরান-ইসরায়েল যুদ্ধবিরতি: ট্রাম্পকে নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য মনোনয়ন
ইরান-ইসরায়েল যুদ্ধবিরতি: ট্রাম্পকে নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য মনোনয়ন

১৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

প্রাক্তন স্বামীর সম্পত্তিতে অধিকার পেলেন না কারিশমা কন্যা
প্রাক্তন স্বামীর সম্পত্তিতে অধিকার পেলেন না কারিশমা কন্যা

২ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

বাংলাদেশ-পাকিস্তান টি-টোয়েন্টি সিরিজের সূচি ঘোষণা
বাংলাদেশ-পাকিস্তান টি-টোয়েন্টি সিরিজের সূচি ঘোষণা

১৮ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

৮ আগস্ট নতুন বাংলাদেশ দিবস
৮ আগস্ট নতুন বাংলাদেশ দিবস

১৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

প্রিন্ট সর্বাধিক
মাহাথির বোঝেন ইউনূস বোঝেন না
মাহাথির বোঝেন ইউনূস বোঝেন না

সম্পাদকীয়

ঝরনায় মৃত্যুর মিছিল
ঝরনায় মৃত্যুর মিছিল

নগর জীবন

চোরাই পণ্যে সয়লাব সিলেট
চোরাই পণ্যে সয়লাব সিলেট

নগর জীবন

জামায়াতের হাতে কেউ কষ্ট পেলে নিঃশর্ত ক্ষমা চাই
জামায়াতের হাতে কেউ কষ্ট পেলে নিঃশর্ত ক্ষমা চাই

প্রথম পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

পাওনা নিয়ে পিডিবি-আদানি দ্বন্দ্ব
পাওনা নিয়ে পিডিবি-আদানি দ্বন্দ্ব

পেছনের পৃষ্ঠা

খেলা হবে-সিন্ডিকেট
খেলা হবে-সিন্ডিকেট

প্রথম পৃষ্ঠা

অপেক্ষা বছরের পর বছর ভোগান্তিতে চালকরা
অপেক্ষা বছরের পর বছর ভোগান্তিতে চালকরা

পেছনের পৃষ্ঠা

উপদেষ্টা আসিফকে ক্ষমা চাইতে হবে
উপদেষ্টা আসিফকে ক্ষমা চাইতে হবে

পেছনের পৃষ্ঠা

প্রবাসীদের জোয়ারে চ্যালেঞ্জে স্থানীয়রা
প্রবাসীদের জোয়ারে চ্যালেঞ্জে স্থানীয়রা

মাঠে ময়দানে

কে জয়ী ১২ দিনের যুদ্ধে
কে জয়ী ১২ দিনের যুদ্ধে

প্রথম পৃষ্ঠা

শেয়ারবাজারে বিনিয়োগে অনেকে সর্বস্বান্ত
শেয়ারবাজারে বিনিয়োগে অনেকে সর্বস্বান্ত

প্রথম পৃষ্ঠা

প্রধানমন্ত্রী ১০ বছরে বিএনপি সম্মত
প্রধানমন্ত্রী ১০ বছরে বিএনপি সম্মত

প্রথম পৃষ্ঠা

খানাখন্দে বেহাল সড়ক
খানাখন্দে বেহাল সড়ক

রকমারি নগর পরিক্রমা

৫ আগস্টের পর অপেক্ষায় ছিলাম আমার ভাই ফিরে আসবে
৫ আগস্টের পর অপেক্ষায় ছিলাম আমার ভাই ফিরে আসবে

পেছনের পৃষ্ঠা

সাবেক সিইসি হাবিবুল গ্রেপ্তার
সাবেক সিইসি হাবিবুল গ্রেপ্তার

প্রথম পৃষ্ঠা

কমলাপুরে ট্রেনে যাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ
কমলাপুরে ট্রেনে যাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ

পেছনের পৃষ্ঠা

মীরজাফর যুগে যুগে
মীরজাফর যুগে যুগে

সম্পাদকীয়

কূটনীতি কেবল পুরুষের জন্য নয়
কূটনীতি কেবল পুরুষের জন্য নয়

প্রথম পৃষ্ঠা

জমেছে ইনটেক্স বাংলাদেশ প্রদর্শনী
জমেছে ইনটেক্স বাংলাদেশ প্রদর্শনী

পেছনের পৃষ্ঠা

ভোটের সময় প্রকাশে সবাই সন্তুষ্ট
ভোটের সময় প্রকাশে সবাই সন্তুষ্ট

প্রথম পৃষ্ঠা

পদাবনতি হয়ে ওসি এখন এসআই
পদাবনতি হয়ে ওসি এখন এসআই

নগর জীবন

কমিশনারের পদত্যাগ দাবি
কমিশনারের পদত্যাগ দাবি

প্রথম পৃষ্ঠা

প্রথম দিনে ব্যাটিং বিপর্যয়ে বাংলাদেশ
প্রথম দিনে ব্যাটিং বিপর্যয়ে বাংলাদেশ

প্রথম পৃষ্ঠা

আগে স্থানীয় নির্বাচনের অনুরোধ জামায়াতের
আগে স্থানীয় নির্বাচনের অনুরোধ জামায়াতের

প্রথম পৃষ্ঠা

আইকনিক চরিত্রে কিয়ারা
আইকনিক চরিত্রে কিয়ারা

শোবিজ

ট্রেনে কাটা পড়লেন দুই মোটরসাইকেল আরোহী
ট্রেনে কাটা পড়লেন দুই মোটরসাইকেল আরোহী

দেশগ্রাম

ছিনতাইকারীর ঘুসিতে সাংবাদিক নিহত
ছিনতাইকারীর ঘুসিতে সাংবাদিক নিহত

খবর

খাল বাঁচাতে আবর্জনা অপসারণে ছাত্র-জনতা
খাল বাঁচাতে আবর্জনা অপসারণে ছাত্র-জনতা

দেশগ্রাম

এখনো স্বস্তি ফেরেনি দেশের অর্থনীতিতে
এখনো স্বস্তি ফেরেনি দেশের অর্থনীতিতে

প্রথম পৃষ্ঠা