আফগানিস্তানের দ্বিতীয় ও তৃতীয় বৃহত্তম শহর দুটি ইতোমধ্যেই তালেবানের নিয়ন্ত্রণে চলে গেছে। দেশটির বিস্তীর্ণ এলাকাও দখল করছে তালেবান। আফগানিস্তানের অর্ধেকেরও বেশি প্রাদেশিক রাজধানীর নিয়ন্ত্রণ এখন তালেবানদের হাতে। দেশটির রাজধানী কাবুল কার্যত ঘেরাও হয়ে পড়েছে। তালেবান কাবুল থেকে প্রায় ১১ কিলোমিটার (৭ মাইল) দূরে অবস্থান করছে বলে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম খবর প্রকাশ করেছে।
এদিকে, আফগানিস্তানের বিস্তীর্ণ এলাকার নিয়ন্ত্রণ দখল করে তালেবান যখন ক্রমশ রাজধানী কাবুলের দিকে এগিয়ে আসছে - তখন দেশটির প্রেসিডেন্ট আশরাফ গানি টিভিতে দেওয়া এক ভাষণে বলেছেন, সামরিক বাহিনীকে পুনরায় সংহত করা এখন সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার। প্রেসিডেন্ট গানি গতকাল শনিবার (১৪ আগস্ট) তার ভাষণে তিনি পদত্যাগ করবেন কি না বা বর্তমান পরিস্থিতির দায়দায়িত্ব নেবেন কি না এমন কোনো ইঙ্গিত দেননি। তবে তিনি বলেছেন, যুদ্ধ সমাপ্তির চেষ্টায় আলোচনা চলছে।
অপরদিকে, আফগানিস্তানজুড়ে হামলা অবিলম্বে বন্ধ করে তালেবানকে আলোচনায় বসার জন্য আহ্বান জানিয়েছেন জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্টোনিও গুতেরেস। গত শুক্রবার নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সদর দফতরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এই আহ্বান জানান। এসময় গুতেরেস বলেন, তিনি তালেবানের বিভিন্ন কর্মকাণ্ডে শঙ্কিত। কারণ, তালেবান কর্তৃপক্ষ তাদের নিয়ন্ত্রণে থাকা এলাকাগুলোতে বিভিন্ন বিধিনিষেধ আরোপ করেছে। এসব বিধিনিষেধের প্রধান লক্ষ্য হলো নারী ও সাংবাদিকরা।
তিনি আরও বলেন, আফগান বালিকা ও নারীদের কষ্টে অর্জিত অধিকার তাদের কাছ থেকে ছিনিয়ে নেওয়ার প্রতিবেদন দেখা ভয়ংকর ও হতাশাজনক। খনই সময় যুদ্ধ থামানোর ও আলোচনা করার। এখনই সময় দীর্ঘ গৃহযুদ্ধ এড়ানোর এবং আফগানিস্তানকে বিচ্ছিন্নতার শঙ্কা থেকে মুক্ত করার।
বিডি-প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ আল সিফাত