আফগানিস্তান থেকে মার্কিন সামরিক বাহিনী প্রত্যাহার যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশটির সবার জন্য টার্নিং পয়েন্ট হিসেবে বিবেচিত হতে পারে উল্লেখ করেছেন ইরানের প্রেসিডেন্ট সাইয়েদ ইব্রাহিম রায়িসি।
অস্ট্রিয়ার চ্যান্সেলর সেবাস্তিয়ান কুর্জ এর সঙ্গে সোমবার এক টেলিফোনালাপে এই মন্তব্য করেন তিনি।
এসময় অস্ট্রিয়ার চ্যান্সেলর আফগানিস্তানের ঘটনাবলী সম্পর্কে প্রতিবেশি দেশ হিসেবে ইরানের দৃষ্টিভঙ্গি জানতে চান। জবাবে প্রেসিডেন্ট রায়িসি বলেন, সমসাময়িক ইতিহাস বলছে যে, আফগানিস্তানে আমেরিকা হস্তক্ষেপ করার পর থেকে দেশটি কখনও ভালো সময় পার করেনি। আমরা বিশ্বাস করি, আফগানিস্তানের বিভিন্ন গোষ্ঠী দেশটি থেকে মার্কিন সেনা প্রত্যাহারের ঘটনাকে টার্নিং পয়েন্ট হিসেবে বিবেচনা করবে এবং পরস্পরের সহযোগিতা নিয়ে সরকার গঠন করবে যা সবার কাছে গ্রহণযোগ্য হবে।
তিনি আরও বলেন, আমেরিকার বেআইনি এবং একতরফা নিষেধাজ্ঞার পরেও আফগান শরণার্থীদের জন্য ইরান সব ধরনের খরচ নিজের কাঁধে নিয়েছে। আফগানিস্তানে শান্তি ও নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠার জন্য প্রতিবেশি দেশ হিসেবে ইরান নিরন্তর প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে এবং দেশটিতে যেসব সরকার শান্তি এবং স্থিতিশীলতা প্রতিষ্ঠার ইচ্ছা পোষণ করে তাদের সঙ্গে সহযোগিতা করতে প্রস্তুত তেহরান।
এ পর্যায়ে প্রেসিডেন্ট রায়িসি ইরান এবং অস্ট্রিয়ার মধ্যকার বাণিজ্য সম্পর্ক নিয়ে কথা বলেন। তিনি বলেন, দু’ দেশের মধ্যকার বাণিজ্যিক সম্পর্ক আরও বাড়িয়ে তেহরান এবং ভিয়েনা বেশি লাভবান হতে পারে। দু’ দেশের স্বার্থ রক্ষার ব্যাপারে তিনি সতর্ক থাকার কথা উল্লেখ করে বলেন, ইরান এবং অস্ট্রিয়ার মধ্যকার বাণিজ্যিক সম্পর্ক যাতে কেউ ক্ষতিগ্রস্ত না করতে পারে সে ব্যাপারে নানামুখী ষড়যন্ত্র সম্পর্কে সজাগ থাকতে হবে।
ফোনালাপে অস্ট্রিয়ার চ্যান্সেলর আফগানিস্তানের সাম্প্রতিক ঘটনাবলীতে উদ্বেগ প্রকাশ করেন এবং বিপুলসংখ্যক শরণার্থী আশ্রয় দেওয়ার জন্য ইরানকে বিশেষ ধন্যবাদ জানান। তিনি ইরান এবং অস্ট্রিয়ার মধ্যকার সম্পর্ককে আরও গভীর করার আহ্বান জানান। পাশাপাশি ইরানের পরমাণু সমঝোতা পুনরুজ্জীবিত করার ব্যাপারে ভিয়েনায় যে আলোচনা চলছে তা যত তাড়াতাড়ি সম্ভব আবার শুরু এবং সফল হবে বলে আশা করেন।
বিডি প্রতিদিন/কালাম