নতুন করে পরমাণু-চালিত সাবমেরিন বানাচ্ছে রাশিয়া। মস্কোর বাইরে ইন্টারন্যাশনাল টেকনিক্যাল ফোরামের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে এই ঘোষণা দিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। তিনি জানান, রাশিয়া পরমাণু চালিত সাবমনেরিন-সহ নৌবাহিনীর জন্য বেশ কিছু যান বানাবে।
এই প্রদর্শনীতে রাশিয়ার অস্ত্রশস্ত্র ও সেনার জন্য প্রয়োজনীয় সব সামগ্রী রাখা হয়েছে। রাশিয়া চাইছে, বিদেশি ক্রেতারা এই প্রদর্শনীতে এসে অস্ত্র কেনার বরাত দিক তাদের। জর্ডানের রাজা দ্বিতীয় আবদুল্লাহ সেই প্রদর্শনী দেখেছেন।
পুতিন একটি ভিডিওতে বলেছেন, শক্তিশালী ও সার্বভৌম রাশিয়ার জন্য চাই শক্তিশালী নৌবাহিনী। রাশিয়ার নৌবাহিনীকে শক্তিশালী রাখতে হবে। দেখতে হবে, যাতে তারা নিজেদের বেস তৈরি করতে পারে, তাদের কাছে অত্যাধুনিক পরিকাঠামো থাকে। বিশেষ করে স্টেট অব আর্ট অস্ত্র থাকে।
পুতিন জানিয়েছেন, “আমাদের নৌবাহিনীর সব যুদ্ধজাহাজে সর্বাধুনিক অস্ত্র, যোগাযোগ ব্যবস্থা ও নেভিগেশনের জন্য আধুনিক যন্ত্র লাগানো হবে। সিরিয়ায় সংঘাতের সময় আমাদের প্রযুক্তি যে কতটা কার্যকর তা আমরা দেখেছি।”
তিনি বলেন, তিন ধরনের জলযান তৈরির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তার মধ্যে আছে দুইটি পরমাণু-চালিত সাবমেরিন যেখানে ইন্টারকনটিনেন্টাল ব্যালিস্টিক মিসাইল থাকবে।
এছাড়া দু’টি ডিজেল চালিত সাবমেরিন এবং অন্য নৌযানও তৈরির নির্দেশ দিয়েছেন পুতিন।
ক্রেমলিন এখন রাশিয়ার নৌবাহিনীকে আধুনিক করার দিকে মন দিয়েছে। পশ্চিমা দেশগুলোর সঙ্গে রাশিয়ার সম্পর্ক খারাপ হওয়ার পর থেকে তারা এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। পুতিন সোমবার বলেছেন, “আমরা চাই, সমুদ্রের কৌশলগত এলাকায় রাশিয়ার পতাকা উড়তে থাক।”
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট জানিয়েছেন, নতুন অস্ত্র তৈরির কাজও চলছে। তার মধ্যে আছে নতুন হাইপারসনিক ড্যাগার, পরমাণু-চালিত এয়ার লঞ্চড ব্যালিস্টিক মিসাইল এবং সুখোই এস-৭০ হান্টার। সূত্র: ডয়েচে ভেলে
বিডি প্রতিদিন/কালাম