গত ১৫ আগস্ট আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেয় তালেবান। এর মধ্য দিয়ে দীর্ঘ ২০ বছর পর দেশটির ক্ষমতা দখলে নিয়ে বিদ্রোহী গোষ্ঠীটি। তালেবানের এই অভ্যুত্থানের পর কিছু আফগান নাগরিক দেশ ছাড়তে মরিয়া হয়ে ওঠে।
তারা কাবুলের হামিদ কারজাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর দিয়ে বিদেশ যেতে সেখানে ভিড় জমায়। এই সুযোগে বিদেশ গমনে ইচ্ছুক আফগানদের কাছ থেকে চাঁদা তুলছে বলে অভিযোগ উঠেছে মার্কিন সেনাদের বিরুদ্ধে। এমনকি তারা এসব আফগান নাগরিকদের কাছ থেকে জোরপূর্বক অর্থ আদায় করে নিচ্ছেও বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। খবর প্রেস টিভি, নূর নিউজ ও পার্সটুডের।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মার্কিন নাগরিকদের নির্বিঘ্নে আফগানিস্তান থেকে পালিয়ে যেতে সহায়তা করার জন্য কাবুলের হামিদ কারজাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নিরাপত্তায় মার্কিন মেরিন সেনাদের মোতায়েন করা হয়েছে। তারা বিমানবন্দরে ভিড় করা আফগান নাগরিকদেরকে বিদেশগামী বিমানে উঠিয়ে দিতে সহযোগিতা করার জন্য একেকজনের কাছ থেকে সুবিধামতো ৫০০ থেকে ২,০০০ ডলার পর্যন্ত হাতিয়ে নিচ্ছে।
এতে আরও বলা হয়েছে, যারা চাঁদা দিতে পারছে না তাদেরকে কোনওক্রমেই বিমানবন্দরে ঢুকতে দিচ্ছে না মার্কিন সেনারা। আর পশ্চিমাদের নিয়ন্ত্রিত গণমাধ্যম এ খবর প্রচার করছে না।
তবে এভাবে হুড়োহুড়ি করে দেশত্যাগ না করতে আফগান নাগরিকদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন তালেবান মুখপাত্র জবিহুল্লাহ মুজাহিদ। তিনি বলেছেন, পশ্চিমা দেশগুলো আফগান নাগরিকদের নিয়ে তাদেরকে নিচু মানের কাজে নিয়োগ দেবে। তিনি আফগানিস্তানের জনগণকে দেশত্যাগ উৎসাহিত না করার জন্য আমেরিকার প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
মার্কিন সেনাদের চাঁদাবাজির ঘটনা আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে প্রকাশিত না হওয়ার কারণে সম্পর্কে পর্যবেক্ষকরা বলছেন, তালেবানের অগ্রাভিযানের মুখে আমেরিকা ও ব্রিটেনসহ সবগুলো পশ্চিমা দেশ আফগান যুদ্ধে শোচনীয় পরাজয়বরণ করেছে। এ অবস্থায় এসব পশ্চিমা দেশের গণমাধ্যমে আফগানিস্তানের সর্বশেষ পরিস্থিতি সম্পর্কে বাস্তবতার উল্টোচিত্র তুলে ধরা হবে এটাই স্বাভাবিক। তাদের মতে, পরাজিত শক্তির গণমাধ্যমে আফগানিস্তান সম্পর্কে ইতিবাচক খবর আশা করা যায় না।
বিডি প্রতিদিন/কালাম