গত ১৫ আগস্ট আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেয় তালেবান। এর মধ্য দিয়ে দীর্ঘ ২০ বছর পর দেশটির ক্ষমতা দখলে নেয় বিদ্রোহী গোষ্ঠীটি।
দেশটির এমন রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে সেখানকার নাগরিকদের খাদ্য সরবরাহের জন্য ২০ কোটি ডলার জরুরি সহযোগিতার আবেদন জানালো বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি (ডব্লিউএফপি)।
মঙ্গলবার দেশটিতে আসন্ন খাদ্য সঙ্কট নিয়ে সতর্ক করেছে জাতিসংঘের খাদ্য বিষয়ক কর্মসূচি। তারা জানিয়েছে, কাবুল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নিষেধাজ্ঞার কারণে এই মুহূর্তে ৪টি বিকল্প পথে আফগানিস্তানে খাবার পৌঁছানো হচ্ছে। তবে, আগামী মাস থেকে মজুদকৃত খাদ্য ফুরিয়ে যাওয়া শুরু হবে।
ডব্লিউএফপি এই মুহূর্তে উজবেকিস্তান, পাকিস্তান এবং তুর্কমেনিস্তান সীমান্ত ক্রসিং ব্যবহার করে আফগানিস্তানের বিভিন্ন স্থানে খাবার পৌঁছাচ্ছে। তবুও, মাত্র ৫০ শতাংশ খাদ্যপণ্য আফগানিস্তানে নেওয়া যাচ্ছে। শিগগিরই দেশটির ২ কোটি মানুষের জরুরি ভিত্তিতে সহায়তার প্রয়োজন পড়বে- এমন শঙ্কা সংস্থাটির।
আফগানিস্তানের প্রায় এক কোটি ৮৫ লাখ মানুষ এরই মাঝে বৈদেশিক ত্রাণের ওপর নির্ভরশীল হয়ে পড়েছে। আর দেশটিতে চলমান খরার কারণে এই সংখ্যা আরও বাড়বে।
বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি (ডব্লিউএফপি) এর আঞ্চলিক উপ-পরিচালক অ্যান্ড্রু প্যাটারসন বলেন, আফগানদের জন্য বর্তমানে ২০ হাজার মেট্রিক টন খাবার প্রয়োজন। কিন্তু, পথে রয়েছে মাত্র ৭ হাজার মেট্রিক টন। আগামী ডিসেম্বর নাগাদ আফগান জনগণের জন্য আমাদের আরও ৫৪ হাজার মেট্রিক টন খাবারের প্রয়োজন। আসন্ন সেপ্টেম্বর থেকেই মজুদ করা খাবার ফুরানো শুরু হতে পারে। তাই, জরুরি ভিত্তিতে ২০ কোটি ডলারের জরুরি খাদ্য সহযোগিতা তহবিল অনুমোদনের আবেদন জানাচ্ছি আন্তর্জাতিক মহলকে।
বিডি প্রতিদিন/কালাম