আফগানিস্তানের প্রেসিডেন্ট প্রাসাদের দখল নেওয়ার পর এবার তালেবানের আশা আন্তর্জাতিক স্বীকৃতির। ইসলামপন্থি গোষ্ঠীটির সাংস্কৃতিক কমিশনের জ্যেষ্ঠ সদস্য আবদুল কাহার বলখি গতকাল মঙ্গলবার সংবাদমাধ্যম ভয়েস অব আমেরিকাকে বলেন, তালেবান তাদের ‘বৈধ প্রতিনিধিত্বকারী’ শাসনের জন্য আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি অর্জন করলে, তা কূটনৈতিক সম্পৃক্ততা বৈশ্বিক নিরাপত্তা বাড়াতে সাহায্য করবে এবং আফগানদের দীর্ঘস্থায়ী রক্তঘাতী যুদ্ধের ভোগান্তি লাঘব হবে।
আবদুল কাহার বলখি বলেন, ‘আমরা বিশ্বাস করি, বিশ্বের কাছে সমঝোতার একটি অনন্য সুযোগ রয়েছে। কেবল আমাদের মোকাবিলা করার চ্যালেঞ্জের জন্য একত্রিত হওয়া নয় বরং সমগ্র মানবজাতি এবং বৈশ্বিক নিরাপত্তা থেকে শুরু করে জলবায়ু পরিবর্তনের মত চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবিলা করতে সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টা প্রয়োজন। এটি আমাদের সমগ্র জনগণকে বাদ বা উপেক্ষা করে এগুলো অর্জন করা যাবে না।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা আশা করি, বিশ্বের দেশগুলো আফগান জনগণের বৈধ প্রতিনিধিত্বকারী সরকার হিসেবে আমাদের স্বীকৃতি দেবে। এই প্রতিনিধি সরকার অনেক প্রতিকূলতা সত্ত্বেও দীর্ঘ সংগ্রাম এবং বিপুল ত্যাগের বিনিময়ে সমগ্র জাতির সমর্থন নিয়ে বিদেশি দখলদারিত্ব থেকে আত্মনিয়ন্ত্রণের অধিকার অর্জন করেছে।’ দেশটির রাজধানী কাবুলে প্রবেশ এবং দেশটির ৩৪টি প্রদেশের ৩৩টির নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার এক সপ্তাহ পরে এসব কথা বলেন তিনি।
অন্যদিকে, জাতিসংঘের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, তালেবান আল-কায়েদাসহ অন্যান্য চরমপন্থি গোষ্ঠীর সঙ্গে যোগাযোগ অব্যাহত রেখেছে। এছাড়াও জাতিসংঘের কর্মকর্তারা তাদের প্রতিবেদনে তালেবান নিয়ন্ত্রিত এলাকায় দ্রুত বিচারে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর এবং নারীদের ওপর নিষেধাজ্ঞার কথাও উল্লেখ করেছেন।
বিডি প্রতিদিন / অন্তরা কবির