গত ১৫ আগস্ট কাবুল দখলের মাধ্যমে দীর্ঘ ২০ বছর পর আফগানিস্তানের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেয় তালেবান। তালেবান যোদ্ধারা চারদিক থেকে কাবুল ঘিরে ফেললে হেলিকপ্টারে পালিয়ে যান প্রেসিডেন্ট আশরাফ গনি। এরপর বিনা রক্তপাতে দেশটির নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেয় তালেবান। চূড়ান্ত পতন ঘটে আশরাফ গনি সরকারের।
গনি সরকারের এই পতনের কারণ সম্পর্কে নিজের উপলব্ধি বর্ণনা করেছেন দেশটির পলাতক ভাইস প্রেসিডেন্ট আমরুল্লাহ সালেহ। তিনি বলেছেন, আমেরিকার পক্ষ থেকে তালেবানকে স্বীকৃতি দেওয়া এবং পশ্চিমা দেশগুলোর দুর্বলতার কারণে তালেবান গোটা দেশ দখল করে নিয়েছে।
আমরুল্লাহ সালেহ বুধবার ভারতের নিউজ১৮ টিভি চ্যানেলকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলেন, “কাতারে আন্তঃআফগান আলোচনায় তালেবানকে স্বীকৃতি দেওয়ার জন্য কাবুলের ওপর ওয়াশিংটনের কঠোর চাপ প্রয়োগ এবং আফগান সরকারের হাতে যথেষ্ট গোয়েন্দা তথ্য না থাকার কারণে গনি সরকারের পতন হয়েছে।”
আফগান সরকারের (পতন হয়ে যাওয়া) পক্ষ থেকে তালেবানি শাসনকে স্বীকৃতি দেওয়া হবে না বলে প্রত্যয় ব্যক্ত করেন পলাতক এই ভাইস প্রেসিডেন্ট। তিনি তালেবানের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর জন্য আফগান জনগণের প্রতি আহ্বান জানান।
আমরুল্লাহ সালেহ আবারও দাবি করেন, প্রেসিডেন্ট আশরাফ গনি পদত্যাগ করার পর সংবিধান অনুযায়ী তিনি এখন আফগানিস্তানের ভারপ্রাপ্ত বৈধ প্রেসিডেন্ট।
কয়েকদিন আগেও সালেহ তার টুইটার পেজে লিখেছিলেন, আফগানিস্তানের সংবিধানের সুস্পষ্ট ধারা অনুযায়ী, প্রেসিডেন্ট দেশ থেকে পালিয়ে গেলে বা প্রেসিডেন্টের মৃত্যু হলে ভাইস প্রেসিডেন্ট রাষ্ট্রপ্রধানের দায়িত্ব গ্রহণ করবেন। সে হিসেবে তিনিই এখন আফগানিস্তানের প্রেসিডেন্ট। অবশ্য আমরুল্লাহ সালেহ নিজেও যে এখন পলাতক রয়েছে সেকথা তার টুইটার বার্তায় উল্লেখ করেননি।
বিডি প্রতিদিন/কালাম