গত ১৫ আগস্ট কাবুল দখলের মাধ্যমে দীর্ঘ ২০ বছর পর আফগানিস্তানের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেয় তালেবান। এরপর ১০ দিন পেরিয়ে গেলেও এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে সরকার গঠনের ঘোষণা দিতে পারেনি বিদ্রোহী গোষ্ঠীটি।
বর্তমানে দেশটিতে বিদেশি নাগরিকদের সরিয়ে নেওয়ার কাজ চলছে। কাবুল বিমানবন্দর থেকে নিজেদের নাগরিকদের সরিয়ে নেওয়ার কাজ করছে বিভিন্ন দেশ।
এদিকে, আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলের আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে প্রযুক্তিগত সহায়তা দেওয়ার জন্য তুরস্কের সঙ্গে আলোচনার উদ্যোগ নিয়েছে তালেবান। আফগানিস্তান থেকে সমস্ত বিদেশি সেনা প্রত্যাহার করার পর তুরস্ক এই সহায়তা দিক-এমনটাই চাইছে তালেবান।
বুধবার তুরস্কের একজন শীর্ষ কর্মকর্তার বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ খবর দিয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কাবুল বিমানবন্দরের স্বাভাবিক কার্যক্রম চালু রাখার জন্য টেকনিক্যাল সাপোর্ট চেয়ে তালেবান তুরস্কের কাছে অনুরোধ জানিয়েছে। গত ১৫ আগস্ট রাজধানী কাবুল দখলের মাধ্যমে তালেবান পুরো আফগানিস্তানের নিয়ন্ত্রণ গ্রহণ করে।
এর আগে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এপ্রিল মাসে ঘোষণা দিয়েছিলেন, চলতি বছরের ৩১ আগস্টের মধ্যে আফগানিস্তান থেকে সব সেনা প্রত্যাহার করা হবে। সে সময় আমেরিকা জানিয়েছিল, ন্যাটো জোটের পক্ষ থেকে তুরস্কের সামরিক বাহিনী কাবুল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নিরাপত্তা বিষয়টি দেখভাল করবে। কিন্তু তালেবান এর বিরোধিতা করে বলেছিল, তারা তুরস্ক এবং আমেরিকার সেনার মধ্যে কোনও পার্থক্য করবে না, সবাইকে বিদেশি শত্রুসেনা কিভাবে গণ্য করা হবে।
এছাড়া, গত মঙ্গলবার তালেবান মুখপাত্র জবিহুল্লাহ মুজাহিদ বলেছেন, যদিও তালেবান তুরস্কের সঙ্গে সুসম্পর্ক চায় তবে আফগানিস্তান থেকে বিদেশি সেনা প্রত্যাহারের সময় তুর্কি সেনাদেরও চলে যেতে হবে।
এখন তালেবানের পক্ষ থেকে বিমানবন্দরে টেকনিক্যাল সাপোর্টের প্রস্তাব দেওয়ার পর তুরস্ক তা গ্রহণ করবে কিনা এখনও সেটি পরিষ্কার নয়। তুরস্কের ওই কর্মকর্তা বলেছেন, তুর্কি সেনা ছাড়া টেকনিক্যাল সাপোর্টের কর্মীদের নিরাপত্তা রক্ষা করা খুবই ঝুঁকিপূর্ণ কাজ।
বিডি প্রতিদিন/কালাম