বিতর্ক থাকা সত্ত্বেও ইসরায়েলের একটি আদালত জেরুজালেমে মুসলিমদের পবিত্রতম মসজিদ আল-আকসায় ইহুদিদের প্রার্থনার অনুমতি দিয়েছিলো। এই আদেশ ক্ষোভের জন্ম দেয় ফিলিস্তিনিদের মধ্যে। ফিলিস্তিনি প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ ইবরাহীম ইশতাইয়া থেকে শুরু করে সাধারণ ফিলিস্তিনি ও স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস এর প্রতিবাদ জানান। এবার ইসরায়েলের নিম্ন আদালতের সেই আদেশ আটকে দিয়েছে দেশটির উচ্চ আদালত।
জানা গেছে, নিম্ন আদালতের রায় পাল্টে, ষাটের দশক থেকে জারি থাকা নিষেধাজ্ঞা বহাল রেখেছে ইসরায়েলের উচ্চ আদালত। এর আগে, গত বুধবার মসজিদুল আকসায় ইহুদিদের 'নীরব প্রার্থনার' অনুমতির বিতর্কিত ও ঐতিহাসিক এ রায় দেন জেরুজালেম ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টের বিচারক বিলহা ইয়াহালোম। এরপর জেরুজালেমে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।
রায়ে বলা হয়, মসজিদটিতে ইহুদিদের প্রার্থনা করা কোনো অপরাধ বলে গণ্য করা হবে না। এ কারণে পুলিশ তাদের বাধা দিতে পারবে না। এতে ১৯৪৮ সাল থেকে জেরুজালেমের পবিত্র মসজিদ আল-আকসার দেখভাল করে আসা জর্ডান তীব্র নিন্দা জানায়। দেশটির জেরুজালেম ইসলামিক ওয়াকফ এই রায়ের বিরোধীতা করে।
উল্লেখ্য, আরিয়েহ লিপ্পো নামে এক ইহুদি ধর্ম যাজকের (রাব্বি) করা মামলায় এ আদেশ দেন ইসরায়েলের এক নিম্ন আদালত, যা শেষ পর্যন্ত টিকলো না। এর আগে, পবিত্র মসজিদ আল আক-আকসায় ইহুদি এই রাব্বিকে প্রবেশে বাধা দিয়েছিল পুলিশ। এ ঘটনার প্রতিবাদেই তিনি ইসরায়েলি আদালতে যান। সূত্র : আল-জাজিরা।
বিডি-প্রতিদিন/শফিক