রাশিয়া ইউক্রেনে যে সামরিক অভিযান চালাচ্ছে তা আরও বাড়াতে সিরীয়সহ অন্যান্য বিদেশি যোদ্ধাদের সামিল করছে বলে দাবি করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।
এক দশকেরও বেশি সময় ধরে সিরিয়ার বিভিন্ন উপশহরে গৃহযুদ্ধ লেগে আছে। ২০১৫ সালে দেশটির প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের পক্ষ নিয়ে এই যুদ্ধে জড়ায় রাশিয়া।
এদিকে, মার্কিন সংবাদ মাধ্যম ‘ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল’ এর প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে বিবিসি জানিয়েছে, মার্কিন প্রতিরক্ষা সদর দফতর পেন্টাগনের কর্মকর্তারা বলেছেন, রাশিয়ার রাষ্ট্রপতি ভ্লাদিমির পুতিন ওই সব যোদ্ধাদের ইউক্রেনে মোতায়েনের মিশনে আছেন। তিনি চাচ্ছেন সিরীয় যোদ্ধাদের ইউক্রেন লড়াইয়ে সামিল করতে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে পেন্টাগনের মুখপাত্র জন কিরবি সাংবাদিকদের বলেন, “আমরা মনে করি রাশিয়ানদের হিসাব-নিকাশ হচ্ছে- সিরিয়ার যোদ্ধাদের ইউক্রেনে তাদের বাহিনীর সঙ্গে যুক্ত করে শক্তি আরও বাড়ানোর পাঁয়তারা করছে তারা। আমরা মনে করি এর সত্যতা রয়েছে।”
উল্লেখ্য, গত ২৪ ফেব্রুয়ারি থেকে সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের দেশ ইউক্রেনে সামরিক অভিযান চালাচ্ছে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম পরাশক্তি রাশিয়া। আজ মঙ্গলবার অভিযানের ত্রয়োদশতম দিন। ইতোমধ্যে ইউক্রেনের বেশ কয়েকটি নগরী দখল করে নিয়েছে রুশ সেনারা। এতে দেশটির বিভিন্ন নগরীতে হতাহত হয়েছে বহু সংখ্যক মানুষ।
রাশিয়ার দাবি, ইউক্রেনের তাদের সামরিক অভিযানের অর্থ যুদ্ধ নয়। বরং বিশ্বব্যাপী একটি সম্ভাব্য যুদ্ধ প্রতিহত করার লক্ষ্যে এই অভিযান চালানো হচ্ছে। পুতিন বলেছেন, ইউক্রেনকে নাৎসিমুক্ত করা, দেশটির নিরস্ত্রিকরণ ও ন্যাটো জোটে ইউক্রেনের অন্তর্ভুক্তি প্রতিহত করার জন্য তিনি এই অভিযান চালাচ্ছেন। সূত্র: আল-জাজিরা
বিডি প্রতিদিন/কালাম