গত ২৪ ফেব্রুয়ারি থেকে ইউরোপের দেশ ইউক্রেনে সামরিক অভিযান চালাচ্ছে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম পরাশক্তি রাশিয়া। আজ মঙ্গলবার অভিযানের ত্রয়োদশতম দিন। ইতোমধ্যে ইউক্রেনের বেশ কয়েকটি নগরী দখল করে নিয়েছে রুশ সেনারা। এতে দেশটির বিভিন্ন নগরীতে হতাহত হয়েছে বহু সংখ্যক মানুষ।
এক নজরে ইউক্রেন নিয়ে সর্বশেষ সংবাদ
১. ইউক্রেন বলছে, রুশ হামলার কারণে অবরুদ্ধ শহরগুলো থেকে বেসামরিক নাগরিকদের নিরাপদে সরিয়ে নেওয়ার কার্যক্রম বাধাগ্রস্ত করছে।
২. রাজধানী কিয়েভের শহরতলি ইরপিনে রুশ সৈন্যরা ক্রমাগত বোমা হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু শহরের প্রশাসন জানিয়েছে নদীর ওপর বানানো অস্থায়ী সেতু দিয়ে ২০০০ মানুষ শহর ছেড়ে চলে যেতে পেরেছে।
৩. কিয়েভের কাছে আরেকটি ছোট শহর হোসটোমেলের স্থানীয় সরকার জানিয়েছে রুটি এবং ওষুধ বিতরণের সময় গুলিতে শহরের মেয়র ইউরি প্রাইলিপকো মারা গেছেন। কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ হোসটোমেল বিমানঘাঁটিতে এই শহরের কাছে।
৪. ইউক্রেনের দক্ষিণে, মাইকোলাইভ শহরটি নতুন করে রুশ হামলার মুখে পড়েছে। ইউক্রেন জানিয়েছে- রাতে শহরের আবাসিক এলাকায় কামানের গোলা এসে পড়েছে। শহরটি ক্রিমিয়া এবং ইউক্রেনের সবচেয়ে বড় বন্দর শহর ওডেসার মাঝামাঝি জায়গায়।
৫. অবরুদ্ধ বন্দর শহর মারিউপোলে বিদ্যুৎ ও পানির লাইন বিচ্ছিন্ন। আটকে পড়া হাজার হাজার মানুষ পানি ও খাদ্যের চরম সংকটে পড়েছে। শহর থেকে পালানো একটি পরিবারের সদস্যরা বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেছেন ‘শহরের সর্বত্র মৃতদেহ পড়ে রয়েছে’।
৬. মারিউপোলের নিয়ন্ত্রণ নিতে পারলে ক্রিমিয়া এবং বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়া লুহানস্ক এবং ডোনেটস্কের মধ্যে সরাসরি স্থল যোগাযোগ তৈরি করতে সমর্থ হবে রাশিয়া।
৭. যুদ্ধবিরতির লক্ষ্যে দুই দেশের তৃতীয় বৈঠক শেষ হয়েছে। মঙ্গলবার চতুর্থবারের মত বৈঠকে বসবেন রুশ এবং ইউক্রেনের কর্মকর্তারা।
৮. তৃতীয় বৈঠকের আগে ক্রেমলিনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে দাবি মানা হলে মুহূর্তের মধ্যে সামরিক অভিযান বন্ধ করা হবে। অন্যদিকে, বৈঠকে ইউক্রেনের একজন প্রতিনিধি, মিখাইলো পোডোলিয়াক, বেসামরিক মানুষের ওপর হামলা বন্ধের জন্য রাশিয়ার প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
এর আগে, ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি বলেন, তার দেশের “জনগণের হত্যাকারীদের কোনওদিন ক্ষমা করা হবে না, শাস্তি তাদের পেতেই হবে।”
৯. রাশিয়ার সামরিক অভিযান ‘অযৌক্তিক’ আখ্যা দিয়ে ইউক্রেনের জন্য সহায়তা বাড়ানো অব্যাহত রাখার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ফ্রান্স, জার্মানি এবং যুক্তরাজ্য।
১০. পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞার প্রতিশোধ হিসেবে রাশিয়া ইউরোপে প্রাকৃতিক গ্যাস রফতানি কমানোর হুমকি দিয়েছে।
১১. সর্বশেষ ভিডিও বার্তায় ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেছেন যুদ্ধে জয়ী না হওয়া পর্যন্ত তিনি কিয়েভেই থাকবেন। সূত্র: বিবিসি
বিডি প্রতিদিন/কালাম