ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলীয় বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রিত ডনবাসে ‘নো-ফ্লাই জোন’ স্থাপন করেছে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম পরাশক্তি রাশিয়া।
রাশিয়ার বার্তা সংস্থা ‘ইন্টারফ্যাক্স’ এর বরাত দিয়ে এ তথ্য দিয়েছে ব্রিটিশ গণমাধ্যম ‘দ্য গার্ডিয়ান’।
এদিকে, রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় মিডিয়া আউটলেট ‘তাস’ এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, দেশটির দক্ষিণের নো-ফ্লাই জোন ২৬ মার্চ পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। রুশ পরিবহন মন্ত্রণালয়ের একটি সূত্রের বরাত দিয়ে এ তথ্য দিয়েছে সংবাদ সংস্থাটি।
ডোনেটস্ক এবং লুহানস্ক হচ্ছে ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলীয় দুটি নগরী। এদুটি নগরীকে একত্রে ডনবাস বলা হয়। সম্প্রতি অঞ্চল দুটিকে আলাদা রাষ্ট্র হিসেবে স্বাধীনতার স্বীকৃতি দিয়েছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।
উল্লেখ্য, সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের দেশ ইউক্রেনে সামরিক অভিযান চালাচ্ছে রাশিয়া। গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ভোর থেকে এই অভিযান শুরু হয়। এরই মধ্যে শুক্রবার ২৩তম দিনে গড়িয়েছে অভিযান। বিগত ২২ দিনে ইউক্রেনের বেশ কয়েকটি নগরী দখলে নিয়েছে রুশ বাহিনী।
রুশ সামরিক অভিযান শুরুর পর বারবার ন্যাটো জোটসহ পশ্চিমা দেশগুলোর কাছে ইউক্রেনের আকাশে ‘জো-ফ্লাই জোন’ ঘোষণার অনুরোধ জানালেও তা প্রত্যাখান করেছে তারা। তবে রাশিয়া ঠিকই তার স্বীকৃত দুটি অঞ্চলে ‘নো-ফ্লাই জোন’ প্রতিষ্ঠা করেছে।
‘নো-ফ্লাই জোন’ কী?
‘নো-ফ্লাই জোন’ ঘোষণা করে কোনও নির্দিষ্ট এলাকায় যেকোনও উড়োজাহাজ ওড়া বন্ধ করা যায়।
ডনবাসে ‘নো-ফ্লাই জোন’ প্রতিষ্ঠার মানে হল সেখানে অন্য কোনও দেশের উড়োজাহাজ উড়তে পারবে না। তা স্বত্ত্বেও যদি সেখানে অন্য কোনও দেশের উড়োজাহাজ দেখা যায় তা গুলি করে ভূপাতিত করবে রাশিয়া।
অন্যদিকে, ইউক্রেনের অনুরোধের প্রেক্ষিতে দেশটিতে ‘নো-ফ্লাই জোন’ ঘোষণার মানে দাঁড়াবে, সেখানে রাশিয়ার উড়োজাহাজ উড়তে পারবে না। অর্থাৎ রাশিয়া বিমান হামলা চালাতে গেলেও তাদের প্রতিরোধের মুখে পড়তে হবে।
ন্যাটোভুক্ত দেশ নয়, এমন এলাকায় আগেও ‘নো ফ্লাই জোন’ ঘোষণা করেছিল যুক্তরাষ্ট্র নেতৃত্বধীন জোট ন্যাটো। যেমন লিবিয়া ও বসনিয়া।
তবে এই ধরনের পদক্ষেপ বরাবরই বিতর্কের মুখে পড়ে। কেননা, এই পদক্ষেপ সরাসরি যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ার মতোই। সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান
বিডি প্রতিদিন/কালাম