পাকিস্তানে চরম পর্যায়ে পৌঁছেছে রাজনৈতিক অস্থিরতা। এরই মধ্যে দেশটির প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের বিরুদ্ধে ওঠা অনাস্থা প্রস্তাব এবং সংসদ ভেঙে দেওয়ার প্রসঙ্গটি সেদেশের সুপ্রিম কোর্টে চলে গেছে। এখন তা বিচারাধীন। সোমবার এই বিষয়ে শুনানির পর মুলতবি করা হয়। আজ এ বিষয়ে রুল জারি করতে পারেন দেশটির সুপ্রিম কোর্ট। স্থানীয় প্রভাবশালী গণমাধ্যম ‘ডন’ এ তথ্য জানিয়েছে।
কিন্তু কী ঘটতে যাচ্ছে ইমরান খানের কপালে?
ইমরান খানের সুপারিশে পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট সেদেশের সংসদ ভেঙে দেওয়ার ইস্যুতে দায়ের করা মামলায় রায়দান স্থগিত রেখেছে পাকিস্তানের শীর্ষ আদালত। তবে এরই মাঝে আদালতের একটি উল্লেখযোগ্য পর্যবেক্ষণে বড় ধাক্কা খেয়েছেন ইমরান খান এবং এই পর্যবেক্ষণের প্রেক্ষিতে যদি পরবর্তীতে সুপ্রিম কোর্ট রায়দান করে তাহলে ইমরানের কপালে দুঃখ আছে।
পাকিস্তানে এই সময়ে রাজনৈতিক ও সাংবিধানিক সংকটের পরিস্থিতি বিরাজ করছে। আর সেই সংকট কাটাতে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন বিরোধীরা। পাকিস্তান সংসদে অনাস্থা প্রস্তাব খারিজ প্রসঙ্গে বিরোধীরা মামলা দায়ের করেছেন সেদেশের শীর্ষ আদালতে। এর প্রেক্ষিতে এই মামলার শুনানি হচ্ছে দেশটির সুপ্রিম কোর্টের পাঁচ সদস্যের ডিভিশন বেঞ্চে।
পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম ‘জিও নিউজ’-এর খবর অনুযায়ী, মামলার শুনানি চলাকালীন প্রধান বিচারপতি উমর আতা বন্দিয়াল বলেন, ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলির স্পিকার সংবিধানের ৫ অনুচ্ছেদ উল্লেখ করলেও অনাস্থা প্রস্তাব খারিজ করা যাবে না।
‘ডন’ পত্রিকার খবরে বলা হয়, শুনানির সময় বিচারপতি আহসান বলেন, অনাস্থা প্রস্তাবের কার্যক্রমে নিয়ম লঙ্ঘন হয়েছে। বিচারপতি বন্দিয়াল পর্যবেক্ষণ করেন, অনাস্থা প্রস্তাবের ওপর ভোটের আগে বিতর্কের কথা স্পষ্টভাবে আইনে উল্লেখ থাকলেও তা হয়নি।
পাকিস্তানের প্রধান বিচারপতি বন্দিয়ালের সাংবিধানিক সংকট নিয়ে নতুন করে চিন্তিত হয়ে পড়বেন ইমরান খান। এখন অনেকের মনেই প্রশ্ন দেখা দিয়েছে, এই পর্যবেক্ষণের পর কি পাকিস্তানের সুপ্রিম কোর্ট অনাস্থা প্রস্তাবে ভোটের নির্দেশ দেবে? এমনটা হলে ইমরান খানের পুনঃনির্বাচনের স্বপ্ন ভেঙে চুরমার হয়ে যাবে এবং বিরোধীরা ক্ষমতা দখল করতে পারে। সূত্র: ডন, জিও টিভি
বিডি প্রতিদিন/কালাম