ইমরান খানের প্রধানমন্ত্রীর পদ হারানোর জন্য যেসব কারণ সামনে আসছে, তার মধ্যে অন্যতম সেনাবাহিনী। আল জাজিরা, বিবিসিসহ বেশ কয়েকটি আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের খবর বলছে সেনাবাহিনী ইমরানের দিক থেকে মুখ ফিরিয়ে নেওয়াতেই তার এই পরিণতি। তবে সেনাবাহিনী কেন ইমরানের দিক থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে, তার কোনও সঠিক কারণ জানা যাচ্ছে না।
আল জাজিরার প্রতিবেদন বলা হয়েছে, গত বছরের অক্টোবরেই সেনাবাহিনী আর ইমরান খানের দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে আসে। সেসময় ইমরান খান গোয়েন্দা প্রধান হিসেবে লেফটেন্যান্ট ফয়েজ হামিদকেই রেখে দেন। তবে ওই পদে সেসময় সেনাপ্রধান কামার বাজওয়া লেফটেন্যান্ট জেনারেল নাদিমের নাম প্রস্তাব করেছিলেন। খবরে আরও বলা হয় চলতি বছরের নভেম্বরেই বাজওয়ার মেয়াদ শেষ হবে, তার পদে নাকি হামিদকেই বসানোর পরিকল্পনা করছিলেন ইমরান এমন গুঞ্জনও আছে।
সম্প্রতি ইমরানের দল পিটিআই থেকে বেরিয়ে যাওয়া আমির লিয়াকত হুসেইনও একই রকম কথা বলেছেন। টুইটারে এক ভিডিও বার্তায় তিনি সাফ দাবি করেছেন, ইমরান সেনাপ্রধান কামার জাভেদ বাজওয়াকে সরিয়ে দিতে চান। এসময় ইমরানকে গাদ্দারও বলেছেন লিয়াকত।
গতকাল শনিবার জিও নিউজের এক প্রতিবেদনে বলা হয় সেনাপ্রধানের পদ থেকে বাজওয়াকে সরানোর দাবি নাকচ করেছেন ইমরান খান। বিশ্বস্ত সূত্রের বরাতে জিও জানায়, জেষ্ঠ্য সাংবাদিকদের ইমরান খান বলেছেন ‘সেনাপ্রধানকে বরখাস্ত করা কিংবা এ বিষয়ে কোনো পদক্ষেপ নেওয়ার কোন কথাই হয়নি। আমি আইন ও সংবিধান মেনে নিজের কাজ করবো।’
সূত্র: আল জাজিরা, বিবিসি, জিও, লিয়াকত টুইটার
বিডি প্রতিদিন/নাজমুল