পূর্ব ইউক্রেনে রাশিয়ার সেনাবাহিনী তাদের লক্ষ্যবস্তুগুলোর ওপর আঘাত হানছে। ফলে সেখানে তীব্র যুদ্ধ চলছে। এর পাশাপাশি ইউক্রেনের পশ্চিমে বিশেষ করে লাভিভ শহরের বিদ্যুৎ কেন্দ্র এবং ৬টি রেলস্টেশনের ওপরও আক্রমণ চালিয়েছে রুশ বাহিনী।
লাভিভ শহরে মঙ্গলবার রাতে মোট তিনটি বিদ্যুৎ সাবস্টেশনের ওপর ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত হানে। এর ফলে শহরটির কিছু এলাকা অন্ধকারে নিমজ্জিত হয়। পানি সরবরাহও বন্ধ হয়ে যায়। এক সপ্তাহেরও বেশি সময় পর পশ্চিম ইউক্রেনে আবারও রুশ হামলা চালানো হল।
লাভিভ শহরটি পোল্যান্ড সীমান্তের খুব কাছে। ইউক্রেনের রেল নেটওয়ার্কও ছিল গতরাতের আক্রমণের লক্ষ্য। ইউক্রেনের সেনাবাহিনীকে পশ্চিমা দেশগুলো যে অস্ত্র পাঠাচ্ছে তা সরবরাহের জন্য পূর্ব দিকের এই রেল ব্যবস্থা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। রুশ বাহিনী এর আগেও ইউক্রেনের রেল ব্যবস্থার ওপর আক্রমণ চালিয়েছে।
ইউক্রেন অভিযোগ করেছে, বিদ্রোহী-নিয়ন্ত্রিত দোনেৎস্ক-এর উত্তরে আভদিভকা শহরে একটি কারখানার শ্রমিকদের ওপর রুশ বাহিনী গোলাবর্ষণ করেছে। ইউক্রেনের সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, তাদের বাহিনী পূর্বাঞ্চলীয় দোনেৎস্ক ও লুহানস্ক অঞ্চলে গত ২৪ ঘণ্টায় রুশ বাহিনীর ১২টি আক্রমণ ঠেকিয়ে দিয়েছে। তাদের ফেসবুক পেজে দেয়া বিবৃতিতে বলা হয়, রুশ বাহিনী পোপাসানা এলাকায় আক্রমণ চালিয়েছে এবং সেখানে এখনো যুদ্ধ চলছে। এতে আরও বলা হয়, মারিউপোলে আজোভস্টাল ইস্পাত কারখানা এলাকায় ইউক্রেনীয় অবস্থানগুলোর ওপর বিমান হামলা এবং গুলিবর্ষণ করেছে।
এদিকে যুক্তরাজ্যের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের ব্রিফিংএ বুধবার বলা হয়েছে, ডনবাস অঞ্চলের আরও ভেতরে ঢোকার জন্য রাশিয়া ইজিয়াম শহরের কাছে ২২টি ব্যাটালিয়ন মোতায়েন করেছে। এতে বলা হয়, রাশিয়া তাদের অভিযানে গতি সঞ্চার করতে পারছে না এবং ইউক্রেনীয় বাহিনীর শক্ত প্রতিরোধ ভাঙতে হিমশিম খাচ্ছে। কিন্তু তারপরও তারা ইজিয়াম থেকে আরও সামনে এগিয়ে যেতে চাইছে যাতে ক্রামাটরস্ক এবং সেভেরোডনেৎস্ক শহর দুটি দখল করা যায়।
বিবৃতি আরও বলা হয়েছে, এই জায়গাগুলো দখল করতে পারলে উত্তর পূর্ব ডনবাসে রুশ সেনাবাহিনীর নিয়ন্ত্রণ সংহত হবে এবং তারা ইউক্রেনের বাহিনীকে ওই এলাকা থেকে বিচ্ছিন্ন করে ফেলার প্রয়াস চালাবে। সূত্র : বিবিসি
বিডি প্রতিদিন/আবু জাফর