যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা কাউন্সিল বলছে, পেলোসির তাইওয়ানে সফরের অধিকার আছে।
সোমবার ওয়াশিংটনে এক সংবাদ সম্মেলনে যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা কাউন্সিলের মুখপাত্র জন কিরবি বলেন, পূর্বেও পেলোসি আকস্মিক কোনো ঘটনা ছাড়াই তাইওয়ান সফর করেছেন। এ সময় তিনি বলেন, পেলোসির সম্ভাব্য সফরকে বেইজিংয়ের সংকটে পরিণত করা উচিত না।
একই সময় যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিনকেন বলেছেন, তাইওয়ান সফর করবেন কিনা সে সিদ্ধান্ত পেলোসির নিজের। যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি পরিষদ থেকে হোয়াইট হাউস স্বাধীন।
এর আগে চলতি সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্রের জয়েন্ট চিফ অব স্টাফের চেয়ারম্যান জেনারেল মার্ক মিলি বলেছিলেন, পেলোসি কিংবা অন্য কেউ সফর করে চাইলে তাদের ভ্রমণ নিরাপদ করতে সহায়তা চাইলে আমরা করব।
গত রবিবার যুক্তরাষ্ট্রের পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ প্রতিনিধি পরিষদের স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি এশিয়া সফর শুরু করেছেন। তবে পূর্বঘোষণা অনুযায়ী, তিনি তাইওয়ান সফরে যাবেন কি না, তা স্পষ্ট করে কিছু জানাননি। তাই বিষয়টি নিয়ে গুঞ্জন ডালপালা মেলেছে।
পেলোসির এ সফরে ক্ষুব্ধ চীন। কূটনৈতিক কারণে হোয়াইট হাউসের মাথাব্যথাও কম নয়। পেলোসি বরাবরই চীনের ঘোর সমালোচক। ১৯৮৯ সাল থেকেই পেলোসির চোখের বালি বেইজিং।
চীন স্বশাসিত তাইওয়ানকে নিজেদের অবিচ্ছেদ্য অংশ মনে করে। তাইওয়ানের স্বাধীনতাকে স্বীকৃতি না দিতে অন্য দেশের ওপরও চাপ প্রয়োগ করেছে বেইজিং। তাই চীনবিরোধী পেলোসির তাইওয়ান সফরকে স্বাভাবিকভাবে নিতে পারছে না চীন। দেশটি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছে পেলোসির তাইওয়ান সফরে পরিস্থিতি ভয়ংকর হতে পারে। সূত্র: গার্ডিয়ান
বিডিপ্রতিদিন/কবিরুল