মার্কিন কংগ্রেসের নিম্নকক্ষ প্রতিনিধি পরিষদের স্পিকার ন্যান্সি পেলোসির তাইওয়ান সফর ঘিরে উত্তেজনা দেখা দিয়েছে চীন ও আমেরিকার মধ্যে। চীনের কঠোর হুঁশিয়ারি উপেক্ষা করে তাইপেতে গেছে পেলোসি।
এদিকে, পেলোসির প্রতিক্রিয়ায় তাইওয়ানের চারপাশে ছয় অঞ্চল (জোন) সামরিকা মহড়ার ঘোষণা দিয়েছে চীনা বাহিনী। আগামীকাল ৪ আগস্ট থেকে ৭ আগস্ট পর্যন্ত এই সামরিক মহড়া অনুষ্ঠিত হবে।
মহড়ার সময় ওই অঞ্চলকে ‘নো-ফ্লাই জোন’ ঘোষণা করতে পারে চীনা কর্তৃপক্ষ।
তাইওয়ানের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম ‘তাইওয়ান নিউজ’ এর এক প্রতিবেদনে এসব দাবি করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, মঙ্গলবার রাতে তিনি রাজধানী তাইপেতে পৌঁছান। স্থানীয় সময় ১০টা ৪৪ মিনিটে তাকে বহনকারী প্লেনটি সেখানকার সোংশান বিমানবন্দরে অবতরণ করে। মার্কিন সামরিক বাহিনীর একটি বিমানে করে মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুর থেকে তিনি তাইপেতে উড়ে যান।
এদিকে, তাইপেইয়ের সোংশান বিমানবন্দরে ন্যান্সি পেলোসিকে প্লেন যখন অবতরণ করতে যাচ্ছিলো, ঠিক তার আগেই চীনা বিমানবাহিনীর ২১টি যুদ্ধবিমান তাইওয়ানের আকাশসীমা লঙ্ঘন করে বলে অভিযোগ করেছে দ্বীপরাষ্ট্রটি।
যদিও এখন পর্যন্ত কোনও ধরনের অপ্রীতিকর খবর পাওয়া যায়নি। তবে ন্যান্সি পেলোসির এই সফর ঘিরে ওই অঞ্চলে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে।
এদিকে, মঙ্গলবার রাতে পেলোসি ও সফর সঙ্গীরা মালয়েশিয়া থেকে তাইপের উদ্দেশে রওনা দেওয়ার পরই তাদের নিরাপত্তা দিতে জাপানের বিমানঘাঁটি থেকে তাইওয়ানে উড়ে আসে মার্কিন বিমানবাহিনীর ১৩টি ফাইটার জেটের একটি স্কোয়াড্রন।
পেলোসি এবং আমেরিকার কংগ্রেসের প্রতিনিধিদলকে বিমানবন্দরে স্বাগত জানান তাইওয়ানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জোশেফ উ-সহ অন্য সরকারি প্রতিনিধিরা।
গণমাধ্যমে প্রকাশিত একটি ভিডিওতে দেখা গেছে, বিমানবন্দরের প্রায় অন্ধকার রানওয়েতে টর্চের আলোয় হেঁটে যাচ্ছেন পেলোসিরা। সূত্র: সিএনএন, তাইওয়ান নিউজ
বিডি প্রতিদিন/কালাম