পূর্ব ইউক্রেনে লড়াই করছে আজভ রেজিমেন্টের সেনারা। এই সেনার উৎপত্তি নিয়ে বরাবরই বিতর্ক ছিল। বস্তুত, প্যারামিলিটারি ফোর্স হিসেবে গড়ে উঠেছিল এই রেজিমেন্ট। তাদের কাজ ছিল পূর্ব ইউক্রেনে রাশিয়াপন্থি বিচ্ছিন্নতাবাদীদের সঙ্গে লড়াই করা। পরবর্তীকালে ওই রেজিমেন্ট ইউক্রেনের মূল সেনাবাহিনীর অংশ হয়ে ওঠে।
পূর্ব ইউক্রেনের মারিউপলে লড়াই চালাচ্ছিল আজভ সেনারা। রাশিয়ার সেনা মারিউপল দখল করে নেওয়ার পর তারা একটি কারখানার ভিতর থেকে প্রতিরোধ গড়ে তুলেছিল। শেষপর্যন্ত ওই কারখানা থেকে বেসামরিক ব্যক্তিদের উদ্ধারের নির্দেশ দেয় রাশিয়ার প্রশাসন। যুদ্ধবন্দি করা হয় আজভ সেনাদের। প্রায় এক হাজার আজভ সেনা বন্দি হয়।
বিচ্ছিন্নতাবাদীরা আগেই জানিয়েছিল, ওই সেনাদের মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হবে। তবে রাশিয়া সরকারিভাবে এ বিষয়ে কিছু জানায়নি। মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্ট রায় দেওয়ার পর আজভ যুদ্ধবন্দিদের উপর কড়া শাস্তির বিধান দিতে আর কোনও বাধা থাকল না রাশিয়ার।
স্বাভাবিকভাবেই ইউক্রেন এর সমালোচনা করেছে। আজভ রেজিমেন্ট বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছে, রাশিয়া আরও একটি সন্ত্রাসী পদক্ষেপ নিল। আরও একবার প্রমাণিত হল- রাশিয়া সন্ত্রাসী রাষ্ট্র। আজভ সেনাদের যুদ্ধবন্দির মর্যাদা দেওয়ার আপিল করেছে ইউক্রেন।
রাশিয়ার অভিযোগ ছিল, অতি দক্ষিণপন্থিদের নিয়ে তৈরি আজভ রেজিমেন্ট। তারা ইউরোপের নিও-নাৎসি। বস্তুত, যে সময় আজভ রেজিমেন্ট তৈরি হয়েছিল, সে সময় অতি দক্ষিণপন্থি এবং অতি জাতীয়তাবাদীদের জায়গা দেওয়া হয়েছিল। তাদের সঙ্গে জার্মানির দক্ষিণপন্থিদের যোগাযোগ ছিল বলেও অভিযোগ। তবে বর্তমানে সেই পরিস্থিতির অনেকটাই বদল হয়েছে বলে বিশেষজ্ঞদের একাংশের দাবি। সূত্র: ডয়েচে ভেলে, রয়টার্স, এএফপি, এপি
বিডি প্রতিদিন/কালাম