আগামী ১৯ সেপ্টেম্বর যুক্তরাজ্যের প্রয়াত রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া অনুষ্ঠিত হতে পারে। যদিও এখনো আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেয়া হয়নি।
ওয়েস্টমিনিস্টার অ্যাবেতে রাষ্ট্রীয়ভাবে এই আনুষ্ঠানিকতা হবে বলে জানা গেছে। রানির কফিন লন্ডনে এসে পৌঁছানোর পর তার মরদেহ শায়িত রাখা হবে ওয়েস্টমিনস্টার হলে। শেষকৃত্য সম্পন্ন হবার আগে চারদিন তার মরদেহ সেখানে থাকবে যাতে সাধারণ মানুষ রানিকে তাদের শেষ শ্রদ্ধা নিবেদন করতে পারে।
ব্রিটিশ সরকারের প্রাণকেন্দ্র ওয়েস্টমিনস্টার প্যালেসের সবচেয়ে পুরনো অংশে অবস্থিত বিশাল এই হলঘর ওয়েস্টমিনস্টার হল।
রাজপরিবারের শেষ যে সদস্যের মরদেহ ২০০২ সালে এই হলঘরে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় রাখা হয়েছিল তিনি হলেন রানির মা কুইন মাদার। সেসময় দুই লাখ মানুষ দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে তার প্রতি শেষ শ্রদ্ধা নিবেদন করেছিল।
যুক্তরাজ্যে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ার অর্থ, মৃত ব্যক্তিকে হাসপাতাল বা তার ব্যক্তিগত আবাস থেকে একটি বিশেষ বন্দুকবাহী গাড়িতে দেশটির পার্লামেন্ট হাউস অব কমন্স ভবনের ওয়েস্টমিনিস্টার হলে নিয়ে যাওয়া হবে। সেখানে একটি নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত সর্বসাধারণের শ্রদ্ধা জানানোর জন্য রাখা হবে মৃতকে।
মৃত ব্যক্তিকে বহনকারী গাড়িটি চলানোর দায়িত্বে থাকবেন যুক্তরাজ্যের নৌবাহিনী রয়েল নেভির কয়েকজন সদস্য। সামরিক বাহিনীর একটি দল এ সময় গাড়িটির পেছনে কুচকাওয়াজ করতে করতে যাবেন।
ওয়েস্টমিনিস্টার হল থেকে সমাধিস্থলে রওনা হওয়ার আগে মৃতের প্রতি সম্মানসূচক ২১টি গানফায়ার করা হবে।
রানির কফিন রাখা হবে কিছুটা উঁচু এক প্ল্যাটফর্মের উপর, যাকে বলা হয় ক্যাটাফাল্ক। ঘরের মাথার ওপর একাদশ শতব্দীর মধ্যযুগীয় কাঠের ছাদ। কফিনের প্রতিটি কোনায় পাহারায় থাকবেন রাজকীয় বাহিনী রয়াল হাউসহোল্ডের ইউনিটে কর্মরত সৈন্যরা।
বাকিংহাম রাজপ্রাসাদ থেকে সামরিক কুচকাওয়াজ সহযোগে ধীরগতিতে শোভাযাত্রা করে রানির কফিন নিয়ে যাওয়া হবে ওয়েস্টমিনস্টার হলে। কফিনের সাথে শোভাযাত্রায় অংশ নেবেন রাজপরিবারের সদস্যরা।
রাস্তা দিয়ে যাওয়া এই শোভাযাত্রা দেখতে পাবেন সাধারণ মানুষ। লন্ডনের রাজকীয় উদ্যানগুলোয় এই শোভাযাত্রা দেখার জন্য বসানো হবে বিশাল বিশাল পর্দা যেখানে সম্প্রচারিত হবে পুরো শোক মিছিল।
রানির কফিন আচ্ছাদিত থাকবে রাজকীয় পতাকা রয়াল স্ট্যান্ডার্ডে এবং কফিন ওয়েস্টমিনস্টার হলে নেয়ার পর তার ওপর বসানো হবে রাজ মুকুট ইম্পিরিয়াল স্টেট ক্রাউন, রাজকীয় গোলক এবং রাজদণ্ড।
সূত্র: গার্ডিয়ান।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত হোসেন