বিস্ফোরণে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়ার পর শনিবার দিনের শেষভাগে আংশিকভাবে ক্রিমিয়ান সেতু খুলে দেওয়া হয়েছে। ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
ক্রিমিয়ার সাথে রাশিয়ার সংযোগের একমাত্র সেতুটি শনিবার সকালের দিকে বিস্ফোরণজনিত অগ্নিকাণ্ডের শিকার হয়। এতে সেতুটির ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এই দুর্ঘটনায় তিন জন নিহত হওয়ার খবরও দিয়েছে রাশিয়ার তদন্তকারীরা।
রাশিয়া জানিয়েছে জ্বালানিবাহী লরি থেকেই এই বিস্ফোরণ বা অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত। ইউক্রেনও অবশ্য সরাসরি রাশিয়ার এই দাবি প্রত্যাখান করে তারা হামলা চালিয়েছে এমন কিছু বলেনি।
তবে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির এক উপদেষ্টা মিখাইলো পোদিলিয়াক বলেছেন, ‘ক্রিমিয়া সেতু দিয়েই শুরু’। তিনি আরও বলেন, ‘অবৈধ সবকিছুর ধ্বংস হওয়াই উচিত। চুরি করা সবকিছুই ইউক্রেনকে ফেরত দিতে হবে। অধিকৃত সবকিছু থেকেই রাশিয়াকে উৎখাত করা হবে।’
২০১৪ সালে ক্রিমিয়াকে নিজেদের ভূখণ্ডের স্বীকৃতি দিয়ে দখল করে রাশিয়া।
এই সেতু বিস্ফোরণকে রুশ রণতরী মস্কোভার ডুবে যাওয়ার সাথে তুলনা করেছে ইউক্রেনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়। টুইটে বলেছে, ‘ইউক্রেনে রাশিয়ার ক্ষমতা খাটানোর দুই কুখ্যাত প্রতীক ভেঙে পড়েছে।’ ‘এরপর কী?’
রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, ‘জনসাধারণের স্থাপনার ক্ষতিতে কিয়েভ যে প্রতিক্রিয়া দেখাচ্ছে, তা তাদের সন্ত্রাসী মনোভাবের বহিঃপ্রকাশ।’
সূত্র: বিবিসি
বিডি প্রতিদিন/নাজমুল