জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়ার ওপর দিয়ে সাম্প্রতিক ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ বা পরীক্ষা ছিল দক্ষিণ কোরিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের জন্য সতর্কবার্তা বলে জানিয়েছে উত্তর কোরিয়া। জানা গেছে, দেশটির সর্বোচ্চ নেতা কিম জং উনের ব্যক্তিগতভাবে তত্ত্বাবধানে পুরো বিষয়টি পরিচালিত হয়েছে। খবর আল জাজিরার।
গণমাধ্যমটি জানিয়েছে, উত্তর কোরিয়ার সাম্প্রতিক ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণের মধ্যেই দক্ষিণ-কোরিয়া ও যুক্তরাষ্ট্র যৌথ নৌ মহড়া পরিচালনা করে। কিমের ‘কৌশলগত পারমাণবিক’ মহড়া তারই প্রতিক্রিয়া। গত দুই সপ্তাহে সাতবার ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ পরীক্ষা চালায় উত্তর কোরিয়া। গতকাল রবিবার ভোরেও দু’টি ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করা হয়।
দেশটির রাষ্ট্রীয় সম্প্রচারমাধ্যম কেসিএনএ জানিয়েছে, কিম জং উন যে অনুশীলনের নির্দেশনা দিয়েছিলেন সেটিতে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের সঙ্গে ‘মক পারমাণবিক ওয়ারহেড’ সংযুক্ত ছিল। পুরো প্রক্রিয়া কৌশলগত পারমাণবিক অপারেশন ইউনিটের নেতৃত্বে করা হয়। যার তদারকি কিম নিজেই করে থাকেন।
প্রতিবেদনে একটি ছবি যোগ করেছে সম্প্রচার মাধ্যমটি। যেখানে দেখা যাচ্ছে, কিম সাদা রঙয়ের স্যুট পরে দাঁড়িয়ে আছেন। প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, বিভিন্ন পরীক্ষায় দক্ষিণের সামরিক কমান্ড সুবিধা, স্ট্রাইকিং প্রধান বন্দর ও বিমানবন্দরকে লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছে।
কিম বলেছেন, পারমাণবিক যুদ্ধ হলে আমাদের শক্তির কার্যকারিতা ও ব্যবহারিক ক্ষমতা কী হতে পারে, তা এসব পরীক্ষায় প্রদর্শিত হয়েছে। আমাদের ক্ষেপণাস্ত্রগুলো যেকোনো স্থান থেকে লক্ষ্যবস্তুকে আঘাত করতে ও ধ্বংস করতে সম্পূর্ণরূপে প্রস্তুত। যদিও শত্রুরা সংলাপ ও সমঝোতার বিষয়ে কথা বলে চলেছে। আমাদের কথা বলার কিছু নেই। আমরা তা করার প্রয়োজনও বোধ করি না।
বিডি-প্রতিদিন/শফিক