ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট প্রাসাদ, সুপ্রিম কোর্ট ও কংগ্রেস ভবনে তাণ্ডবের ঘটনায় রাজধানী ব্রাসিলিয়ার জননিরাপত্তা প্রধান সাবেক বিচারপতি অ্যান্ডারসন টরেসকে গ্রেফার করেছে পুলিশ। শনিবার যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডা থেকে দেশে ফিরলে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
এর আগে ব্রাজিলের সুপ্রিম কোর্টের বিচারক গত বুধবার তাকে গ্রেফতারের নির্দেশ দিয়েছিলেন।
তবে ঠিক কি অভিযোগে তাকে গ্রেফতার করা হলো তা এখনও জানা যায়নি। ধারণা করা হচ্ছে, তাণ্ডবে পরোক্ষ সমর্থনের অভিযোগে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। যদিও তিনি তার বিরুদ্ধে অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
টরেস চলতি মাসে ব্রাসিলিয়ার জননিরাপত্তা প্রধান হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছিলেন। আর তিনি দায়িত্ব নেওয়ার কয়েকদিনের মধ্যেই গত সোমবার বলসোনারোর কয়েক হাজার সমর্থক প্রেসিডেন্ট প্রাসাদ, কংগ্রেস ও সুপ্রিম কোর্টে হামলা চালায়।
ঘটনার পর ব্রাসিলিয়াতে নিরাপত্তা দেখভালের দায়িত্বে থাকা রিকার্ডো ক্যাপেলি বলেন, সরকারি ভবনগুলোতে হামলার আগে টরেসের ‘কমান্ডের অভাব’ ছিল। গুরুত্বপূর্ণ সরকারি ভবনগুলোতে হামলা থামাতে নিরাপত্তা বাহিনী ব্যর্থ হওয়ার পর সমালোচনার মুখে ওইদিনই টরেসকে তার দপ্তর থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। টোরেস স্থানীয় গণমাধ্যমে জানিয়েছিলেন, তিনি তার পরিবারসহ যুক্তরাষ্ট্রের অরল্যান্ডোতে ছুটি কাটাচ্ছেন। গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির পর তিনি শনিবার দেশে ফেরেন।
গত অক্টোবরের নির্বাচনে বামপন্থী লুলা দা সিলভার কাছে পরাজিত হন বলসেনারো। তবে তার সমর্থকেরা এই পরাজয় মেনে নিতে পারেননি। এক সপ্তাহ আগে প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেন লুলা দা সিলভা। বলসোনারো বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডায় আছেন। লুলার শপথ নেওয়ার ৪৮ ঘণ্টা আগে তিনি যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমান। এ হামলায় তার ইন্ধন ছিল বলে অভিযোগ করেছেন প্রেসিডেন্ট লুলা। তবে তিনি তা অস্বীকার করেছেন। বলসোনারো এক টুইটে সহিংস এই বিক্ষোভের নিন্দা জানিয়েছেন। সূত্র: আল জাজিরা
বিডিপ্রতিদিন/কবিরুল