মিত্র দেশগুলোর কাছে ইউক্রেন দীর্ঘদিন ধরে ট্যাংক দাবি করছিল। তারা বলছিল, রাশিয়ার বিরুদ্ধে সফলতার জন্য ট্যাংক প্রয়োজন।
জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎস বুধবার মন্ত্রিসভার বৈঠকে ইউক্রেনকে তাদের তৈরি লেপার্ড-২ ট্যাংক দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। এছাড়া ওয়াশিংটন ইউক্রেনে কয়েক ডজন এমআই-আব্রামস ট্যাংকস পাঠাতে যাচ্ছে।
আল জাজিরার এক বিশেষ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জার্মান এবং যুক্তরাষ্ট্রের তৈরিকৃত এই ট্যাংক অত্যাধুনিক মানের এবং সোভিয়েত আমলের ট্যাংকের থেকে অধিক শক্তিশালী হিসেবে গণ্য করা হয়।
ডিজিটাল ম্যাগাজিন ব্রেকিং ডিফেন্সের কন্ট্রিবিউটিং এডিটর সিডনি ফ্রেডবার্গ আল জাজিরাকে বলেন, ‘জার্মানির লেপার্ড এবং আমেরিকার আব্রামস বস্তুতপক্ষে টুইন।’
জার্মান প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের জন্য লেপার্ড-২ ট্যাংক ক্রস মাফাই কর্তৃক ১৯৭৯ সালে তৈরি করা হয়। অস্ট্রিয়া, কানাডা, চিলি, ডেনমার্ক, ফিনল্যান্ড, জার্মানি, গ্রিস, নেদারল্যান্ডস, নরওয়ে, পোল্যান্ড, পর্তুগাল, সিঙ্গাপুর, সুইজারল্যান্ড, সুইডেন, স্পেন এবং তুরস্কের সেনাবাহিনীতে এই ট্যাংক ব্যবহৃত হচ্ছে।
অন্যদিকে এমআই আব্রামস ট্যাংক যুক্তরাষ্ট্রের সেনাবাহিনীর জন্য জেনারেল ডাইনামিকস সিস্টেম কর্তৃক ১৯৭৮ সালে তৈরি করা হয়। মার্কিন সেনাবাহিনীর কাছে এটা ১৯৮০ সালে হস্তান্তর করা হয়।
প্রতিরক্ষা ম্যাগাজিনের এডিটর ফ্রেডবার্গ বলেন, ‘ট্যাংক দুটো প্রায় একই। সুবৃহৎ যান, ব্যাপক সাঁজোয়াযুক্ত, সর্বপরি সোভিয়েত আমলের তৈরি অথবা রাশিয়ার বর্তমান ব্যবহৃত ট্যাংক থেকে এগুলো অধিক সুরক্ষিত।
ইউক্রেনে ট্যাংক দেওয়ার প্রতিক্রিয়ায় রাশিয়া বলেছে, পশ্চিমা ট্যাংকগুলো অন্যান্য সমরাস্ত্রের সঙ্গে পোড়ানো হবে। ট্যাংক সরবরাহকে নির্লজ্জ উসকানি অভিহিত করে যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত বলেছেন, ‘রাশিয়ার সঙ্গে যুদ্ধে ইউক্রেন বিজয়ী হবে এই ভ্রান্তির জন্য পশ্চিমারা ভবিষ্যতে পরিতাপ করবে।’
বিডিপ্রতিদিন/কবিরুল