রাশিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রী সের্গেই শইগু ইউক্রেনে পশ্চিমা দেশের অস্ত্র সরবরাহ নিয়ে হুঁশিয়ার করে বলেছেন, ইউক্রেনে অস্ত্র পাঠিয়ে পশ্চিমা সামরিক জোট ন্যাটোকে কার্যত সংঘাতে জড়ানো হচ্ছে। এতে সংঘাত অপ্রত্যাশিত মাত্রায় বাড়তে পারে। এ জন্য যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্রদেশগুলোকে দায়ী করেন তিনি।
মঙ্গলবার রাশিয়ার প্রতিরক্ষা কর্মকর্তাদের সঙ্গে এক বৈঠকে সের্গেই শইগু বলেন, যুক্তরাষ্ট্র ও তাদের মিত্ররা যতটা সম্ভব এই সংঘাত দীর্ঘায়িত করার চেষ্টা চালাচ্ছে। এ জন্য তারা ইউক্রেনে ভারী সমরাস্ত্র সরবরাহ করছে। একই সঙ্গে তারা আমাদের ভূখণ্ড দখল করার জন্য ইউক্রেনের প্রতি আহ্বানও জানাচ্ছে। প্রকৃতপক্ষে এর মধ্য দিয়ে ন্যাটো জোটভুক্ত দেশগুলোকে এই সংঘাতে জড়ানো হচ্ছে। এতে ইউক্রেনের সংঘাত অপ্রত্যাশিত মাত্রায় বাড়তে পারে।
‘আমাদের ভূখণ্ড’ বলতে রুশ প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইউক্রেনের চার অঞ্চল দোনেতস্ক, লুহানস্ক, জাপোরিঝঝিয়া ও খেরসনকে বোঝাতে চেয়েছেন। গত বছর সেপ্টেম্বরে রাশিয়া এ চার অঞ্চলে গণভোট করে নিজেদের ভূখণ্ড হিসেবে একীভূত করে। যদিও কিয়েভ ও পশ্চিমা দেশগুলো এর নিন্দা জানায়।
গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে রুশ বাহিনীর হামলা শুরুর পর যুক্তরাষ্ট্র দুই হাজার কোটি ডলারের বেশি সামরিক সহায়তা (মূলত অস্ত্র) পাঠিয়েছে কিয়েভে। এ ছাড়া গত সপ্তাহে কিয়েভে আরও ২০০ কোটি ডলারের অস্ত্র পাঠানোর ঘোষণা দেয় ওয়াশিংটন। এ দফায় বিভিন্ন অস্ত্রের সঙ্গে দূরপাল্লার রকেটও পাঠাবে যুক্তরাষ্ট্র।
রুশ প্রতিরক্ষামন্ত্রী আরও বলেন, ইউক্রেনের দুই শহর বাখমুত ও ভুগলেদার দখলে সাফল্যের সঙ্গে আরও অগ্রসর হয়েছে রুশ বাহিনী। পূর্ব ইউক্রেনের দোনেতস্ক অঞ্চলের এই দুই শহরে রাশিয়া ও ইউক্রেনের সেনাদের ব্যাপক লড়াই চলছে। এই শহর দুটি দখলে মরিয়া রুশ বাহিনী তাদের হামলা জোরদার করেছে।
বিডিপ্রতিদিন/কবিরুল