অর্থনৈতিক দুরাবস্থার কারণে পাকিস্তান এবার গ্যাসের বদলে কয়লা-চালিত বিদ্যুৎ কেন্দ্রের দিকে ঝোঁকার পরিকল্পনা করছে।
মঙ্গলবার ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। মূলত বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ সাশ্রয়ে এমন উদ্যোগ নেওয়ার কথা ভাবছে ইসলামাবাদ।
রয়টার্সকে পাকিস্তানের জ্বালানিমন্ত্রী খুররাম দস্তগির খান বলেছেন, ‘গ্যাস-চালিত আর কোনো বিদ্যুৎ কেন্দ্রও নির্মাণ করব না আমরা। এর বদলে কয়লা বিদ্যুৎ কেন্দ্রের সংখ্যা চারগুণ বৃদ্ধি করা হবে।’
পাক জ্বালানিমন্ত্রী বলেছেন, ‘দীর্ঘ মেয়াদী পরিকল্পনার অংশে আর তরলীকৃত গ্যাস নেই।অভ্যন্তরীণভাবে বর্তমানে তারা কয়লা-চালিত বিদ্যুৎ কেন্দ্রের সক্ষমতা ১০ গিগাওয়াটে উন্নীত করতে চান। বর্তমানে এটি ২ দশমিক ৩১ গিগাওয়াটে আছে।
জ্বালানীমন্ত্রী দস্তগির বলেছেন, ‘আমাদের বিশ্বের সবচেয়ে সেরা কার্যকরী এলএনজি ভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র আছে। কিন্তু এগুলো চালানোর গ্যাস আমাদের নেই।’
তিনি আরও বলেছেন, ‘এটি শুধুমাত্র বিদ্যুৎ উৎপাদনের খরচ কমানোর প্রশ্ন না। অভ্যন্তরীণ প্রাকৃতিক সম্পদ ব্যবহার করার বিষয়টিও রয়েছে। এটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ।’
এদিকে পাকিস্তানে বর্তমানে চীনের অর্থায়নে নির্মিত একটি কয়লা-চালিত বিদ্যুৎ কেন্দ্র রয়েছে। যা অভ্যন্থরীণ কয়লা দিয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদন করে।
কয়লা ছাড়াও পাকিস্তান এখন তাদের সৌর, হাইড্রো এবং পরমাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ওপর জোর দিচ্ছে বলে জানিয়েছেন পাক জ্বালানিমন্ত্রী।
গ্যাসের অভাবে বিদ্যুৎ উৎপাদন ব্যাহত হওয়ায় গত বছরের বেশিরভাগ সময় বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন ছিল পাকিস্তান। দেশটির মোট বিদ্যুতের প্রায় তিনভাগই গ্যাস-চালিত বিদ্যুৎ কেন্দ্রের মাধ্যমে উৎপাদিত হয়।
এছাড়াও রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাসের (এলএনজি) মূল্য বৃদ্ধি এবং অর্থনৈতিক বিপর্যয়ের কারণে আন্তর্জাতিক বাজার থেকে গ্যাস কেনার সামর্থ্য হারায় পাকিস্তান।
সূত্র: রয়টার্স
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত