রাশিয়া গত ২৪ ঘণ্টায় কৃষ্ণসাগরের ওপর ইউক্রেনের ২২টি ড্রোন ধ্বংসের দাবি করেছে। রুশ প্রতিরক্ষা বাহিনী জানিয়েছে, যুদ্ধ শুরুর পর এ নিয়ে তারা ৪ হাজারের বেশি ইউক্রেনীয় ড্রোন ধ্বংস করেছেন।
রবিবার রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র লেফটেন্যান্ট জেনারেল ইগর কোনাশেনকভ বলেন, ‘এয়ার ডিফেন্স গত রাতে কৃষ্ণ সাগরের ওপর ২২টি ইউক্রেনীয় আক্রমণকারী চালকবিহীন আকাশযান শনাক্ত করে। সমস্ত ড্রোন ইলেকট্রনিক সমরাস্ত্র এবং ক্ষেপণাস্ত্র দ্বারা ধ্বংস করা করা হয়।’
মস্কো এবং কিয়েভের মধ্যে ড্রোন যুদ্ধ তীব্র হওয়ার মধ্যে রাশিয়া এই তথ্য জানাল। উভয় পক্ষ অপর পক্ষের কেন্দ্রস্থলে আঘাত করার জন্য ড্রোন ব্যবহার করছে।
প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ক্রেমলিনের যে বাসভবনে থাকেন গতসপ্তাহে সেখানটাতে দুটি ড্রোন দিয়ে হামলা চালানো হয়েছে। ঘটনার জন্য রাশিয়া ইউক্রেনকে দায়ী করেছে। তবে কথিত হামলার ঘটনায় খোদ মস্কোর দিকেই আঙুল তোলেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টের মুখপাত্র মিখাইলো পোদোলিয়াক। পোদোলিয়াক বলেন, রাশিয়ার এ ধরনের সাজানো ঘটনাকে ইউক্রেনে বড় ধরনের সন্ত্রাসী হামলা চালানোর জন্য একটি তথ্যগত প্রেক্ষাপট তৈরির প্রচেষ্টা হিসেবেই বিবেচনা করা উচিত।
যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক গবেষণাপ্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর নেভাল অ্যানালাইসিসের (সিএনএ) রাশিয়া স্টাডিজ প্রোগ্রামের গবেষক স্যামুয়েল বেন্ডেট বলেন, এটা (হামলায় ব্যবহৃত) ইউক্রেনের নিজস্ব ইউজে-২২ ড্রোন হতে পারে। আবার চীনের তৈরি মুগিন-৫ ড্রোনও হতে পারে। এই ড্রোন ইউক্রেন আগে ব্যবহার করেছে। ইউক্রেনের পিডি-১ ড্রোন আরেকটি বিকল্প হতে পারে।
স্যামুয়েল বেন্ডেট বলেন, ইউজে-২২ ড্রোনের দূরে হামলার সক্ষমতা রয়েছে। এই ড্রোন মস্কো পর্যন্ত পৌঁছাতে পারে। তবে ড্রোনগুলো ঠিক কোথা থেকে গেছে, তা এ মুহূর্তে স্পষ্ট নয়। এ বিষয়ে এখনো অনেক কিছুই অজানা। সূত্র: আল আরাবিয়া
বিডিপ্রতিদিন/কবিরুল