প্রচণ্ড গরমে অতিষ্ঠ ইউরোপবাসী। ওই মহাদেশের দক্ষিণাঞ্চলে প্রচণ্ড তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকায় ইতালির ১৫টি শহরে রেড অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে। সুস্থ ব্যক্তিরাও স্বাস্থ্য ঝুঁকির মুখে রয়েছেন বলে জানানো হয় সর্তক বার্তায়।
রোম, ফ্লোরেন্স ও বোলোগনাসহ জনপ্রিয় পর্যটন শহরগুলোতেও এই রেড অ্যালার্ট প্রযোজ্য।
সহসা তাপপ্রবাহ কমার লক্ষণ নেই। বরং ইউরোপজুড়ে এই সংকট দেখা যাবে। ইউরোপিয়ান স্পেস এজেন্সি (ইএসএ) বলছে, আগামী সপ্তাহে ইতালি, স্পেন, ফ্রান্স, জার্মানি ও পোল্যান্ডে চরম পরিস্থিতি দেখা যেতে পারে।
ইএসএ স্যাটেলাইটের মাধ্যমে স্থল ও সমুদ্রের তাপমাত্রা নিরীক্ষণ করে। ২০২১ সালের আগস্টে সিসিলিতে মহাদেশের এখন পর্যন্ত উষ্ণতম তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ৪৮ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। পূর্বাভাস অনুসারে, এই সপ্তাহে তাপমাত্রা ওই স্তরে পৌঁছাতে পারে।
ইতালি সরকার আজ শনিবার রেড অ্যালার্টের আওতাভুক্ত এলাকায় বেলা ১১টা থেকে বিকাল ৬টার মধ্যে সরাসরি সূর্যালোক এড়িয়ে চলতে এবং বয়স্ক বা দুর্বলদের বিশেষ যত্ন নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছে।
এদিকে সম্প্রতি গ্রিসের তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস বা এর চেয়ে বেশি হয়েছে। দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় পর্যটন আকর্ষণ অ্যাক্রোপলিস দর্শকদের সুরক্ষার জন্য শুক্রবার কিছু সময় বন্ধ ছিল।
এছাড়া কিছু এলাকায় দাবানলের মারাত্মক আশঙ্কা রয়েছে। এর আগে ব্যতিক্রমী তাপপ্রবাহের কারণে ২০২১ দেশটি বড় আকারের দাবানলের শিকার হয়েছিল।
এছাড়া গরমে ক্ষতিগ্রস্ত দেশের মধ্যে রয়েছে জার্মানি ও পোল্যান্ড। চেক আবহাওয়া অফিস সতর্কতা জারি করে বলেছে, সপ্তাহান্তে তাপমাত্রা ব্যতিক্রমীভাবে ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ওপরে যেতে পারে।
একইসঙ্গে আজ শনিবার যুক্তরাজ্যের কিছু অংশে ভারী বর্ষণ ও দমকা হাওয়ার পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে।
এদিকে যুক্তরাষ্ট্রে চলমান তাপপ্রবাহ অসহনীয় পর্যায়ে পৌঁছে গেছে। আরও তীব্র হওয়ার আশঙ্কার মাঝে দক্ষিণ-পশ্চিমে ওয়াশিংটন রাজ্য পর্যন্ত জারি হয়েছে সতর্কতা। এতে প্রভাবিত হবে ৯ কোটি ৩০ লাখের বেশি নাগরিক।
সারা বিশ্বেই পারদ চড়ছে। গত সপ্তাহে, বিশ্বব্যাপী গড় তাপমাত্রা ছিল ১৭ দশমিক ২৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে, যা এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ।
বিজ্ঞানীরা বলছেন, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে তাপমাত্রা বাড়ছে। প্রাকৃতিকভাবে এল নিনোর প্রবাহও রয়েছে; যার কারণে তাপমাত্রা বৃদ্ধি পায় ও প্রতি তিন থেকে সাত বছরে ঘটে। সূত্র: বিবিসি
বিডি প্রতিদিন/কালাম