দশ মাস ধরে ব্রাজিলের সাবেক প্রেসিডেন্ট জেইর বলসোনারোর দুর্দিন যেন কাটছেই না। প্রথমত, দ্বিতীয় মেয়াদে তিনি পুনঃনির্বাচিত হতে পারেননি। দ্বিতীয়ত, তার সমর্থকরাও নতুন সরকারের অধীনে আছেন একরকম বিপদে। তৃতীয়ত তাকে সাত বছরের জন্য নির্বাচনে নিষিদ্ধ করেছে দেশটির নির্বাচন কমিশন।
এর মাঝে শোনা যাচ্ছে আরেক গুঞ্জন। এবার নাকি গ্রেফতার হতে পারেন বলসোনারো। জানা গেছে, প্রেসিডেন্ট থাকাবস্থায় উপহার হিসেবে পাওয়া সৌদি রোলেক্স ঘড়ি আত্মসাৎ এবং যুক্তরাষ্ট্রের পেনসিলভানিয়ার এক শপিংমলে তা বিক্রির অপরাধে গ্রেফতার হতে পারেন তিনি।
এ মাসে ব্রাজিলের ফেডারেল পুলিশ একটি তদন্তের অংশ হিসেবে অভিযান চালায়। পুলিশ জানিয়েছে, বলসোনারো প্রেসিডেন্ট থাকার সময় সৌদি আরব ও অন্যান্য দেশ থেকে যেসব মূল্যবান উপহার পেয়েছিলেন, তিনি ও তার সহযোগীরা সেগুলো আত্মসাৎ করার চেষ্টা করছেন। সেরকমই একটি অভিযোগ এসেছে বলসোনারোর ব্যক্তিগত সহযোগীর বিরুদ্ধে যে তিনি গত বছর হীরা বসানো একটি রোলেক্স ঘড়ি এবং একটি পাতেক ফিলিপ্পে ঘড়ি পেনসিলভানিয়ার উইলো গ্রোভ পার্ক মলের একটি অলংকারের দোকানে বিক্রি করেছেন।
ফেডারেল পুলিশ বলছে, ঘড়ি দুটি বিক্রি থেকে প্রায় ৬৮ হাজার ডলার নগদ আয় করেছেন বলসোনারো।
তবে বলসোনারোর আইনজীবী পলা কুনহার দাবি, বলসোনারোর পাওয়া উপহার বিক্রির চেষ্টা করেছেন কিনা সেই আলোচনাই অপ্রাসঙ্গিক। কারণ এর আগে একটি সরকারি প্যানেল রায় দিয়েছে যে এসব উপহারের অধিকাংশই বলসোনারোর ব্যক্তিগত সম্পত্তি, রাষ্ট্রের নয়।
কিন্তু ব্রাজিলের আইন বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, এ ধরনের দামি উপহার অবশ্যই রাষ্ট্রের সম্পত্তি। এই সম্পদ নিজে কুক্ষিগত করলে বলসোনারো আইনি জটিলতায় পড়বেন। ব্রাজিলের সাবেক আইনমন্ত্রী মিগুয়েল রিয়ালও মনে করনে, এ ধরনের অভিযোগে বলসোনারোর সর্বোচ্চ ১২ বছরের কারাদণ্ড হতে পারে।
সূত্র: নিউইয়র্ক টাইমস
বিডি প্রতিদিন/নাজমুল