ইরান ও ইসরায়েলের সম্পর্কে এখন প্রবল উত্তেজনা দেখা দিয়েছে। ইরানের অভিয়োগ, সিরিয়ায় তাদের দূতাবাসে ইসরায়েলি বিমান হামলায় দুই জেনারেল-সহ আইআরজিসি’র সাতজনের মৃত্যু হয়েছে। এরপর ইরানের সর্বোচ্চ নেতা খামেনি জানিয়ে দিয়েছেন, ইসরায়েলকে যোগ্য জবাব দেওয়া হবে।
এই পরিস্থিতিতে জার্মানির পররাষ্ট্রমন্ত্রী বেয়ারবক ফোনে কথা বলেছেন ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আমির আবদুল্লাহিয়ানের সঙ্গে। মধ্যপ্রাচ্যের উত্তেজক পরিস্থিতি নিয়ে দু’জনের মধ্যে কথা হয়েছে।
জার্মানির পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয় জানিয়েছে, “ওই অঞ্চলে সকলের স্বার্থে সংঘাত আর বাড়ানো উচিত নয়। আমরা ওই অঞ্চলে সংশ্লিষ্ট সব পক্ষকে অনুরোধ করছি, তারা যেন সর্বোচ্চ সংযম দেখান এবং দায়িত্বশীল আচরণ করেন।”
পরে চিলির পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের পর বেয়ারবক বলেন, “আর কাউকে আগুনে ঘি ঢালতে দেওয়া উচিত হবে না। পরিস্থিতি আরও ভয়ঙ্কর হওয়াটা কাঙ্ক্ষিত নয়।”
বেয়ারবক বলেছেন, তিনি আমিরআবদুল্লাহিয়ানকে জানিয়ে দিয়েছেন-ওই অঞ্চলে সব পক্ষকেই চূড়ান্ত সংযমের পরিচয় দিতে হবে।
জার্মানির বিমানসংস্থা লুফৎহানসা সিদ্ধান্ত নিয়েছে, মধ্যপ্রাচ্যের উত্তেজক অবস্থার কথা মাথায় রেখে শনিবার পর্যন্ত তারা তেহরানে বিমান চালাবে না।
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু বলেছেন, তারা দেশকে রক্ষা করার জন্য প্রস্তুত। তিনি বলেছেন, “কেউ যদি আমাদের ক্ষতি করতে চায়, তাহলে আমরাও দেশের স্বার্থে আমাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য তৈরি।”
ইসরায়েলের সামরিক মুখপাত্র বলেছেন, “ইসরায়েল বিভিন্ন পরিস্থিতির মোকাবিলায় সম্পূর্ণভাবে তৈরি আছে। বেসামরিক মানুষকেও আলাদা করে কোনও প্রস্তুতি নিতে হবে না।” সূত্র: এপি, এএফপি, রয়টার্স, ডয়েচে ভেলে
বিডি প্রতিদিন/আজাদ