মিয়ানমারের সামরিক সরকারের প্রধান জেনারেল মিন অং হ্লেইং ঘোষণা করেছেন, ২০২৫ সালের জাতীয় নির্বাচনের প্রস্তুতি হিসেবে আগামী ১ থেকে ১৫ অক্টোবর পর্যন্ত দেশজুড়ে জনশুমারি এবং ভোটার তালিকা হালনাগাদের কাজ চালানো হবে। রবিবার এক বৈঠকের পর টেলিভিশনে সম্প্রচারিত ভাষণে তিনি জানান, এই নির্বাচনে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের অংশগ্রহণের মাধ্যমে একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনের লক্ষ্যে কাজ করছে সরকার।
২০২১ সালের সামরিক অভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দিয়ে ক্ষমতা দখলের পর, জেনারেল হ্লেইং মিয়ানমারের সামরিক সরকারের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। সেই অভ্যুত্থানের আগে, ২০১৯ সালের নির্বাচনে অং সান সু’চির দল এনএলডি বিজয়ী হয়েছিল। তবে সেনাবাহিনী কারচুপির অভিযোগ এনে ক্ষমতা দখল করে।
অভ্যুত্থানের পর থেকেই মিয়ানমারে গণতন্ত্রপন্থী আন্দোলন এবং জান্তাবিরোধী সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর তৎপরতা বেড়েছে। বিভিন্ন সশস্ত্র গোষ্ঠী ইতোমধ্যেই দেশের এক পঞ্চমাংশ ভূখণ্ডের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে, ২০২৫ সালে নির্বাচন হলে পশ্চিমা বিশ্ব সেটিকে স্বীকৃতি দেবে কিনা, তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে। বিশেষ করে যখন অং সান সু’চি কারাবন্দি এবং তার দল এনএলডিকে বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়েছে।
তবে চীন ইতোমধ্যেই মিয়ানমারকে জনশুমারি, ভোটার তালিকা হালনাগাদ এবং নির্বাচন পরিচালনায় প্রযুক্তিগত ও লজিস্টিক সমর্থন দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে। এটা মিয়ানমারের নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলতে পারে।
বিডিপ্রতিদিন/কবিরুল