স্পিরিট এয়ারলাইন্সের একটি বিমান হাইতির উপর দিয়ে যাচ্ছিল। সে সময় ওই বিমানটি লক্ষ্য করে গুলি চালানো হয়। এ ঘটনার পর বিমানটিকে ঘুরিয়ে দ্রুত ডমিনিক্যান রিপাবলিকে নামানো হয়। এরপরেই আমেরিকা হাইতির উপর দিয়ে সমস্ত ফ্লাইট বাতিল করে দেয়।
মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) আমেরিকার বেসামরিক বিমান সংস্থার পক্ষ থেকে এই সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়েছে।
গত সোমবার স্পিরিট এয়ারলাইন্সের একটি বিমান লক্ষ্য করে গুলির ঘটনা ঘটে।
সংস্থাটির পক্ষ থেকে এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, সমস্ত মার্কিন বিমানবাহী এবং বাণিজ্যিক অপারেটরকে আগামী ৩০ দিনের জন্য হাইতির আকাশসীমা থেকে ‘চলমান নিরাপত্তা অস্থিতিশীলতার সাথে যুক্ত ফ্লাইটের নিরাপত্তা ঝুঁকির কারণে’ নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
মার্কিন গণমাধ্যমে বলা হয়েছে, গত সোমবার স্পিরিট এয়ারলাইন্সের বিমানটি ফ্লোরিডা থেকে হাইতির রাজধানীর দিকে যাচ্ছিল। হাইতির আকাশসীমায় বিমানটি ঢোকার পরেই গুলির ঘটনা ঘটে। বিমানে গুলি লাগার ফলে এক বিমান সেবিকা সামান্য আহত হয়। সঙ্গে সঙ্গে বিমানটি ঘুরিয়ে নিয়ে ডমিনিক্যান রিপাবলিকে নিয়ে যাওয়া হয়। এই ঘটনার পরেই হাইতির বিমানবন্দর বন্ধ করে দেয়া হয়।
হাইতির সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়, যারা এই কাজ করেছে, তাদের খুঁজে বার করে চরমতম শাস্তি দেওয়া হবে। দেশের সার্বভৌমত্ব নষ্ট করার জন্যই এই কাজ করা হয়েছে বলে দাবি করা হয়েছে।
তীব্র গ্যাংওয়ার চলছে হাইতিতে। তারমধ্যেই সম্প্রতি নির্বাচন হয়েছে সেখানে। তারপর থেকে স্কুল-কলেজ সব বন্ধ। বন্ধ দোকানপাটও। নতুন প্রধানমন্ত্রী শপথ নেওয়ার দিনেও রাস্তায় রাস্তায় গুলির শব্দ শোনা গেছে। দেশের ৮০ শতাংশ এলাকাই এখন বিভিন্ন গ্যাংয়ের দখলে। তারই মধ্যে বিমানে গুলির ঘটনা পরিস্থিতি আরো উদ্বেগজনক করে দিয়েছে।
সূত্র : ওয়াশিংটন পোস্ট।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত