যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তার দ্বিতীয় মেয়াদের প্রথম সপ্তাহেই বড় ধরনের প্রশাসনিক পরিবর্তন এনেছেন। শুক্রবার রাতে ১২টি ফেডারেল সংস্থার স্বাধীন পর্যবেক্ষকদের (ইন্সপেক্টর জেনারেল) বরখাস্তের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্টদের হোয়াইট হাউসের কর্মী পরিচালকের ইমেইলের মাধ্যমে জানানো হয়েছে।
স্বাধীন পর্যবেক্ষকদের দায়িত্ব হলো সরকারি কর্মকর্তাদের দুর্নীতি, অনিয়ম ও অপচয় রোধ করা। তারা বিভিন্ন সংস্থার কর্মদক্ষতা ও আর্থিক কর্মকাণ্ড পর্যবেক্ষণ করেন। বরখাস্ত হওয়া পর্যবেক্ষকদের মধ্যে প্রতিরক্ষা, পররাষ্ট্র, অভ্যন্তরীণ, জ্বালানি বিভাগসহ পরিবেশ সুরক্ষা সংস্থা এবং সামাজিক নিরাপত্তা প্রশাসনের কর্মকর্তারা রয়েছেন।
‘এটি এক ধরনের গণহত্যা’— বরখাস্ত হওয়া এক পর্যবেক্ষক এমনটাই বলেছেন। তার মতে, নতুন যারা নিযুক্ত হবেন, তাদের ওপর পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ উঠতে পারে, যা পুরো ব্যবস্থাকে দুর্বল করবে।
উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো, বরখাস্ত হওয়া অধিকাংশ কর্মকর্তাই ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদে নিয়োগপ্রাপ্ত ছিলেন। তবে নিউইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, মোট ১৭ জন পর্যবেক্ষক বরখাস্ত হয়েছেন। তবে বিচার বিভাগ এ তালিকায় অন্তর্ভুক্ত নয়।
ডেমোক্র্যাট সিনেটর এলিজাবেথ ওয়ারেন এই বরখাস্তকে ‘মধ্যরাতের শুদ্ধি অভিযান’ বলে উল্লেখ করেছেন। তার ভাষায়, স্বাধীন পর্যবেক্ষকরা অনিয়ম, দুর্নীতি ও অপচয় রোধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। কিন্তু ট্রাম্প তাদের সরিয়ে ক্ষমতার ওপর নিয়ন্ত্রণের সুযোগকে নষ্ট করছেন এবং দুর্নীতির পথ তৈরি করছেন।
ট্রাম্পের ক্ষমতায় ফেরার প্রথম পূর্ণ কার্যদিবসেই তিনি ঘোষণা দেন, প্রশাসন থেকে তার প্রায় ১,০০০ বিরোধীকে সরিয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে।
৭৮ বছর বয়সী এই রিপাবলিকান নেতা তার দ্বিতীয় মেয়াদে অভিবাসন, নাগরিকত্ব, লিঙ্গ, বৈচিত্র্য এবং জলবায়ু নিয়ে বড় ধরনের প্রশাসনিক পরিবর্তন আনছেন। তবে তার কিছু সিদ্ধান্ত ইতিমধ্যে আইনি চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে।
এই পদক্ষেপ ট্রাম্প প্রশাসনের ক্ষমতা দৃঢ় করার কৌশল হিসেবে দেখা হচ্ছে, যা ভবিষ্যতে প্রশাসনিক কাঠামোতে ব্যাপক প্রভাব ফেলতে পারে।
বিডিপ্রতিদিন/কবিরুল