গত জানুয়ারি মাসের শেষ দিকে ভারতের কর্ণাটকে বাংলাদেশি নারীকে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় গ্রেফতার করা হয়েছে একজনকে। অভিযুক্ত ব্যক্তির নাম মুদুকাপ্পা ওরফে উপেন্দ্র। তিনি কর্ণাটকের বাগালকোটের বাসিন্দা হলেও কর্মসূত্রে বর্তমানে কোঠানুরের অবস্থান করছেন। ৩০ বছর বয়সী অভিযুক্ত ব্যক্তি এলাকায় এপার্টমেন্টগুলোতে পানি সরবরাহ করতেন।
নাজমা নামের ২৮ বছর বয়সী ওই বাংলাদেশি নারী স্থানীয় একটি অ্যাপার্টমেন্টে গৃহপরিচারিকার কাজ করতেন। গত ২৩ জানুয়ারি রাতে কাজ শেষ করে যখন নিজের বাসায় ফিরছিলেন। তখনই তার উপর এই ন্যাক্কারজনক ঘটনাটি ঘটে। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান ছিল, প্রথমে ধর্ষণ এবং পরে তাকে খুন করা হয়। পরদিন সকালে কালকেরে লেকের কাছে নির্জন এলাকায় তার লাশ দেখতে পায় স্থানীয় মানুষ। তারাই পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থল এসে ওই লাশ উদ্ধার করে। তার লাশের পাশ থেকে ছড়ানো ছিটানো অবস্থায় উদ্ধার হয় হাত-ব্যাগ, জুতো, পরনের চুরিদার, মোবাইল ফোন।
বেঙ্গালুরু পুলিশের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন 'অভিযুক্ত ব্যক্তি মুদুকাপ্পা ওই এলাকায় পানি সরবরাহ করতেন। এমনকি নিহত ওই বাংলাদেশি নারী যে অ্যাপার্টমেন্টে পরিচারিকার কাজ করতেন, সেখানেও পানি সরবরাহ করতো মুদুকাপ্পা। ফলে সে জানতো ওই বাংলাদেশি নারী কোন জায়গায় থাকতেন। এমনকি পানি সরবরাহ করার সময় ওই নারীর সাথে তার বেশ কয়েকবার কথাও হয়েছিল। ঘটনার দিন মুদুকাপ্পা লক্ষ্য করেন যে বাংলাদেশি ওই নারী একা বাসায় ফিরছিলেন। এরপরই তার পিছু নেয় অভিযুক্ত ব্যক্তি। একসময় ওই নারীর হাত ধরে তাকে টেনে কালকেরে লেকের পাড়ে নির্জন জায়গায় নিয়ে যায় মুদুকাপ্পা। এরপরই তাকে প্রথমে ধর্ষণ ও পরে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেন। এমনকি ওই নারীকে যাতে সনাক্তকরণ করা না যায়, সেজন্য পাথর দিয়ে তার মুখমন্ডল বিকৃত করা হয়। পরবর্তীতে তার লাশ লেকের ধারে ফেলে দেওয়া হয়'।
বিডি প্রতিদিন/নাজমুল