অর্থনৈতিক দিক থেকে দুর্বল দেশগুলোয় স্বার্থসিদ্ধির জন্য চীন ওসব দেশের দুর্নীতিদুষ্ট নেতাদের ব্যবহার করে থাকে। এ মন্তব্য করা হয়েছে নেপালি পত্রিকা গ্লোবাল ওয়াচ অ্যানালাইসিস (জিডব্লিউএ)-এর এক নিবন্ধে। সাম্প্রতিক এ নিবন্ধটি লিখেছেন রোনাল্ড জ্যাকুয়ার্ড।
নিবন্ধকার লিখেছেন, দুর্বল দেশে চীন যে দুর্নীতিপরায়ণ নেতাদের ব্যবহার করছে তার উদাহরণ হলো নেপাল। চীনা কোম্পানিগুলো নেপালে তাদের ব্যবসা-বাণিজ্যই শুধু প্রসারিত করছে না, চীন রাষ্ট্রীয়ভাবেও দেশটির রাজনীতিতে নাক গলাচ্ছে সুদূরপ্রসারী প্রভাব নিশ্চিত করার লক্ষ্যে।
জিডব্লিউএ জানায়, বিগত বছরগুলোয় নেপালের প্রধানমন্ত্রী কে পি শর্মা অলির ব্যক্তিগত সম্পদ বেড়ে গেছে। এ সম্পদ বিদেশে সরিয়ে নিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। জ্যাকুয়ার্ডের মতে, সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় মিরা বড ব্যাংকে অলির অ্যাকাউন্টে ৫৫ লাখ মার্কিন ডলার আছে। বড় বড় ব্যবসার ক্ষেত্রে রফা হিসেবে চীনাদের সহায়তায় পাওয়া অর্থ খাটিয়ে বিদেশে অলি ও তার স্ত্রী রাধিকা শাক্য বছরে প্রায় ৫ লাখ ডলার মুনাফা পাচ্ছেন।অলি ২০১৫-১৬ মেয়াদে প্রধানমন্ত্রী থাকাকালে নেপালে নিযুক্ত চীনর রাষ্ট্রদূত উ চুনতাইর সহায়তা নিয়ে তিনি কম্বোডিয়ায় টেলিযোগাযোগ খাতে বিনিয়োগ করেন। অলির ঘনিষ্ঠ নেপালি ব্যবসায়ী আং শেরিং শেরপা বিষয়টি চূড়ান্ত করেন। নিবন্ধকার জানান, অভিযোগ আছে- এ ব্যাপারে শেরপা কম্বোডীয় প্রধানমন্ত্রী হুন সেনের হস্তক্ষেপ আদায়ের ব্যবস্থা করেছিলেন।
